Petrol Price Reduction: এই দুর্মূল্যের বাজারে পেট্রোলের দামও ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ধীরে ধীরে পরিবহণ খরচও বেড়ে চলেছে। বিশেষত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য জীবন ধারনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে।খাদ্য দ্রব্যের পাশাপাশি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে পরিবহনের খরচও। এর জন্য বর্তমানে ইলেকট্রিক স্কুটার বা গ্যাস চালিত স্কুটারের জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে।
তবে ভারতের পরিবহণ দপ্তরের তরফে নতুন বছরেই খুশির খবর এলো সাধারণ মানুষের জন্য। জানা যাচ্ছে নতুন বছরে কমতে চলেছে পেট্রোলের দাম (Petrol Price Reduction)। এক ধাক্কায় অনেকটাই পড়তে চলেছে পেট্রোলের দাম। এদিন কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গরকরি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে খুব শীঘ্রই গোটা দেশ জুড়ে পেট্রোলের দাম কমে যাবে অনেকটা। মূলত পরিবহণ খরচের উপর রাশ টানতেই এই নতুন পথের কথা ভেবেছে ভারত সরকার।
জানা যাচ্ছে সারা ভারত জুড়ে পেট্রোলের দাম কমাতে (Petrol Price Reduction) এবার ইথানল মেশানো পেট্রোল বিক্রি করবে সরকার। ইথানল পেট্রোলের তুলনায় কম দামি পদার্থ হওয়ায় পেট্রোলের সাথে মেশালে এর মূল্য অনেকটাই কমিয়ে আনা যাবে। আবার ইথানল পেট্রোলের মতো প্রায় একই উপাদানে তৈরি হওয়ায় এই পথ অবলম্বন করতে চলেছে সরকার। এর ফলে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যাবে পেট্রোলের দাম। সূত্রের খবর খুব শীঘ্রই দেশের সমস্ত পেট্রোল পাম্পে পাওয়া যাবে এই বিশেষ ধরনের সস্তা পেট্রোল। এই পন্থা অবলম্বন করলে প্রতি লিটারে প্রায় ২০ টাকা কমতে চলেছে পেট্রোলের দাম।
আরো পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হলো প্রথম কাঁচের ব্রিজ, পর্যটকদের জন্য দারুন খবর
ইতিমধ্যেই গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা টয়োটা ইথানল দ্বারা চালিত গাড়ি তৈরি করেছে। জানা যাচ্ছে এই বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি গাড়িতে প্রতি লিটারে জ্বালানি খরচ হতে চলেছে মাত্র ২৫ টাকা। ফলে এই নতুন ধরনের গাড়ি ব্যবহারে সমাজের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের দৈনন্দিন খরচের মাত্রা কিছুটা কমিয়ে (Petrol Price Reduction) আনা সম্ভব হবে। খুব শীঘ্রই ভারতীয় যানবাহনের বাজারে এই ধরনের ইথানল চালিত গাড়ি আরও বেশি সংখ্যায় আসতে চলেছে বলে জানান দেশের পরিবহণ মন্ত্রী।
এই ফ্লেক্স জ্বালানি হলো একটি বিকল্প জ্বালানি।যা পেট্রোলের সাথে ইথানল বা মিথানল মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয়। এতে সাধারণ মানুষের জন্য পেট্রোলের খরচ আরও কম (Petrol Price Reduction) ও সস্তা করে তুলবে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ভারতীয় পরিবহণ দপ্তর ২০৩০ সালের মধ্যে পেট্রোলের মধ্যে ২০ শতাংশ ইথানল মেশানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মাধ্যমে পেট্রোল ও ডিজেলের অতিরিক্ত চাহিদা যেমন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে তেমনই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এর বাড়তে থাকা মূল্য।