Sunita Williams: প্রকাশ্যে এলো সুনিতা উইলিয়ামসের কিছু ছবি, চমকে উঠল নাসাও। নাসার অন্যতম জনপ্রিয় মহাকাশচারিণী সুনিতা উইলিয়ামস। মূলত আট দিনের জন্য একটি মহাকাশ অভিযানে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে মহাকাশে কাটানোর সময় কাল বর্ধিত হয়েছে প্রায় ১৫০ দিন। সুনিতার সাথে ছিল সহকর্মী বুথ উইল মোরে। ১৫০ দিনের এই দীর্ঘ সময় শারীরিক পরিণতি অবনতির দিকে এগোচ্ছে সুনিতার। তার ওজন ব্যাপক রকম হ্রাস পেতে দেখা যায়।
সুনিতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) যিনি মহাকাশকেই নিজের দ্বিতীয় বাড়ি মনে করেন। মহাকাশ যাত্রার পর যান্ত্রিক গোলোযোগের কারণে মহাকাশে থাকার সময়কাল বৃদ্ধি পায় প্রায় ১৫০ দিন। কিন্তু তারপরও কোনরকম উদ্বেগ প্রকাশ করেনি এই মহাকাশচারিণী। তবে এই বর্ধিত সময় কাল তার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে দেখা দিচ্ছে। নাসার সূত্রে জানা গেছে তার গালের চামড়া ঝুলে গেছে, গাল ভেতরের দিকে ঢুকে গেছে, এক্কেবারে হাড়জিরজিরে অবস্থা। তার ওজন মারাত্মক রকম হ্রাস পেয়েছে। নাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বর্তমানে সুনিতা উইলিয়ামসের শারীরিক উন্নতি এবং তার ওজনের স্থিতিশীল অবস্থা ফিরিয়ে আনাই সব থেকে বড় লক্ষ্য হয়ে উঠছে।
সম্প্রতি সুনিতা উইলিয়ামসের (Sunita Williams) কয়েকটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ছবি দেখেই সৃষ্টি হচ্ছে উদ্বেগ। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, তিনি যখন যাত্রা করেছিলেন তখন তার ওজন ছিল ১৪০ পাউন্ড। মহাকাশ যাত্রার শুরু থেকে সেখানে কাটানো সময়কালেও নিজের ওজন স্থিতিশীল অবস্থায় রাখার জন্য উচ্চ ক্যালোরি গ্রহণের চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু এত কিছু করেও তাকে পুরোপুরি সুস্থ রাখা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে তার ওজন এতটাই হ্রাস পেয়েছে যে এই মুহূর্তে ওজনের স্থিতিশীল অবস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রতিদিন ৩৫০০ থেকে ৪ হাজার ক্যালোরি খেতে হবে। তাকে নাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ছবি দেখে রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সেই কারণেই এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে কর্তৃপক্ষ।
আরো পড়ুন: সন্তানকে সঠিক মানুষ তৈরি করতে আব্দুল কালাম মহাশয়ের এই ছয়টি উপদেশ জেনে রাখুন
নাসার এক কর্মীর কাছ থেকে জানা গেছে, মহাকাশে থাকাকালীন পেশী ও হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে দু’ঘণ্টারও বেশি সময় কাজ করতে হয় প্রত্যেক মহাকাশচারীকে। যার কারণে খরচ হতে থাকে অতিরিক্ত ক্যালরি। ফলাফল হতে পারে শারীরিক অবনতি। প্রায় একমাস আগে থেকেই চিকিৎসকরা সুনিতা উইলিয়ামসের (Sunita Williams) বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন। গবেষণায় দেখা গেছে পুরুষ মহাকাশচারীদের তুলনায় মহিলা মহাকাশচারীদের পেশিগত সমস্যা অনেক তাড়াতাড়ি এবং বেশি পরিমাণে হয়।
মহাকাশযাত্রা চলাকালীন দীর্ঘদিন, দীর্ঘ সময়ের জন্য চাপ যুক্ত কেবিনে থাকতে হয়েছিল সুনিতা উইলিয়ামসকে (Sunita Williams)। সেই কারণেই তার শারীরিক অবনতির পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গেছে। তবে নাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে প্রত্যেক মহাকাশচারীকে সুস্থ রাখার জন্য রয়েছে চিকিৎসক মন্ডলী। মহাকাশে থাকাকালীন প্রত্যেক মহাকাশচারীকে প্রতিনিয়ত শারীরিক পর্যবেক্ষণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এই মুহূর্তে যারা মহাকাশে রয়েছেন তারা প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছেন, চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানেই রয়েছেন।