7th Pay Commission: মিটতে চলেছে বকেয়া ডিএর সমস্যা, সপ্তম পে কমিশনে লাভবান হবেন সরকারি কর্মীরা। কিছুদিন আগে এক মহামারীর শিকার হতে হয়েছিল গোটা বিশ্বকে। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল প্রায় সকলকেই। কোভিডের সময় থেকেই ডিএ বৃদ্ধির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেছিল সরকারি কর্মীদের। তারপর সেই প্রক্রিয়া সচল হলেও আটকে থাকা ১৮ মাসের ডিয়ে ফেরত দেওয়া হয়নি কর্মীদের। এই বকেয়া টাকা মেটানোর কোন পরিকল্পনাও সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি। এই কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা সাংসদে দাঁড়িয়েও বলেছেন বহুবার। তবে এবার হয়তো পরিস্থিতি পাল্টাতে চলেছে।
সপ্তম পে কমিশনের (7th Pay Commission) পরিবর্তে এবার অষ্টম পে কমিশন আনার দাবি করলেন ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ মেশনারির সচিব। সচিব শিব গোপাল মিশ্র ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৮৬ করার দাবি তুলেছেন সরকারের কাছে। যদি এই দাবি মেনে নেওয়া হয় তাহলে সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধি হতে পারে। বর্তমানে সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতনের পরিমাণ রয়েছে ১৭,৯৯০ টাকা। নতুন ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের উপর ভিত্তি করে এই বেতন হতে পারে ৫১,৪৫১ টাকা।
এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনেও বক্তব্য রেখেছেন শিব গোপাল মিশ্র। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, যারা বলছে নূন্যতম বেতন বৃদ্ধি হয়ে ৩৪ থেকে ৩৫ হাজার টাকা অব্দি হতে পারে তাদের কথার আদতে কোন ভিত্তি নেই। এর আগে যখন সপ্তম পে কমিশনে (7th Pay Commission) ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বাড়িয়ে ২.৫৭ করা হয়েছিল তখন ন্যূনতম বেতনের পরিমাণ ৭০০০ টাকা থেকে বেরে ১৭,৯৯০ টাকা হয়েছে। এবার অষ্টম পে কমিশনের মাধ্যমে ২.৮৬ করার দাবী জানানো হবে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর।
আরো পড়ুন: ৫০ লক্ষ কোটি টাকা গায়েব, স্টক ট্রেডিংয়ে বাঁচতে চাইলে এড়িয়ে চলুন এই ৫ ভুল
সরকারি কর্মীদের বেতনের পরিমাণ যদি ১৭,৯৯০ টাকা থেকে বেড়ে ৫১,৪৫১ টাকা হয় তাহলে প্রায় ১৮৬ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে চলেছে মূল বেতন। অর্থাৎ প্রায় তিনগুণের কিছুটা কম। মূল বেতন বাড়লে, তার পাশাপাশি একই হারে বাড়বে অন্যান্য পরিষেবার ভাতাগুলিও। যেমন মহার্ঘ ভাতা, ট্রাভেল এলাউন্স, হোম রেন্ট এলাউন্স ইত্যাদি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশের প্রথম পে কমিশন গঠন করা হয়েছিল ১৯৪৬ সালে। এরপর তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম পে কমিশনে বেতন বৃদ্ধির স্থায়ী ব্যবস্থা নেবার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এবং সপ্তম পে কমিশনে (7th Pay Commission) জানানো হয়েছিল বেতন বৃদ্ধির জন্য ১০ বছর অপেক্ষা করার কোন কারণ নেই। সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশগুলি বাস্তবায়িত হয়েছিল ২০১৬ সালের পহেলা জানুয়ারি। সপ্তম পে কমিশনের ন্যূনতম বেতনের পরিমাণ ২৬ হাজার টাকা করার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা সরকার দ্বারা স্বীকৃতি পায়নি। তার পরিবর্তে ন্যূনতম বেতন ১৮ হাজার টাকা রাখা হয়। এবার অষ্টম পে কমিশনে করা সুপারিশগুলি ঠিক কতটা মেনে নেওয়া হবে তা এখন সময়ের অপেক্ষা।