Rafael Nadal: চোখের জলে বিদায় টেনিসকে, অবসর নিলেন রাফায়েল নাদাল

Rafael Nadal: বিশ্বের টেনিস ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা টেনিস খেলোয়াড় রাফায়েল নাদাল নিজের টেনিস ক্যারিয়ারকে ভিজে চোখে বিদায় জানালেন। তাঁর অবিশ্বাস্য টেনিস খেলার প্রতিভার জন্য খেলার জগতে লাল সুরকির রাজা হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছেন এই তারকা। গত মাসেই নিজের সমাজ মাধ্যমে একটি আবেগঘন পোস্টের মারফতে নাদাল জানান নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়া ডেভিস কাপই হবে তাঁর খেলোয়াড় জীবনের শেষ প্রতিযোগিতা। জানান মালাগায় স্পেনের জার্সিতে খেলেই টেনিস কোর্টকে বিদায় জানাবেন তিনি। আর সেই মতোই শেষ করলেন এই স্বর্ণময় কেরিয়ার।

এদিন জীবনের শেষ ম্যাচে ডেভিস কাপের ফাইনালে নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামেন তিনি। যদিও শেষ সুন্দর হয়নি। স্ট্রেট ম্যাচে পরাজিত হয়ে কেরিয়ারে ইতি টানেন এই কিংবদন্তি। কিছুদিন আগেই অবসর নিয়েছেন রজার ফেডেরার! এবার নাদালও (Rafael Nadal)! টেনিস জগতের বিগ থ্রির মধ্যে দুইজনই এখন অবসর নিয়েছেন। খেলার জগতে রয়েছেন একমাত্র নোভাক জকোভিচ। ভক্তরা মনে করেছেন হারিয়ে গেলো টেনিসের সেই স্বর্ণযুগ।

২৩ বছরের খেলার যাত্রায় ২২ বার গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী নাদালের (Rafael Nadal) জীবনের সাফল্য প্রকাশ পায় ৬টি অভাবনীয় রেকর্ডে!

১. ডেভিড কাপে নাদালের পরিসংখ্যান ২৯-২ অর্থাৎ মাত্র দুইবার পরাজিত হয়েছেন তিনি। ২০০৪ সালের অভিষেক ম্যাচে হারেন তিনি এরপর ২২ বছর পর আবার পরাজিত তিনি। তাই এদিন তিনি ম্যাচের শেষে বলেছেন যে বৃত্ত পূর্ণ হলো। এদিন শেষ ম্যাচে দর্শকপূর্ণ ছিল গোটা স্টেডিয়াম।

২. মাত্র ১৮ বছর বয়সে নাদাল এটিপি র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দশে আসেন। ২০০৫ সালে প্রথম এই তালিকায় আসার পর সেটি টানা ২০২৩ সাল পর্যন্ত একই স্থান ধরে রেখেছিলেন এই কিংবদন্তি টেনিস তারকা। এক টানা ১৮ বছর শীর্ষ দশের তালিকায় নাম রাখা সবার জন্য নয়।

আরো পড়ুন: ইডেন গার্ডেন্স ছাড়তে হচ্ছে কেকেআর-কে, কোথায় খেলবে নাইট রাইডার্সর

৩. অন্যদিকে রোলা গাঁড়োয় তার জিত এবং হারের পরিসংখ্যান ১১২-৪!

৪. এছাড়াও ওপেন এরায় নাদাল (Rafael Nadal) সর্বোচ্চ ৬৩টি খেতাব জিতেছেন ক্লে কোর্টে। যা একমাত্র নাদাল সম্ভব করতে পেরেছেন।

৫. ট্যুর পর্যায়েও তার জয় পরাজয়ের রেকর্ড অবাক করবে সকলকে। ১০৮০ ম্যাচে জয়ী নাদাল (Rafael Nadal Retires) হেরেছেন মাত্র ২২৮টি ম্যাচ। যা ১৯৬৮ সাল থেকে পুরুষদের তালিকায় চতুর্থ।

৬. এছাড়াও নাদাল (Rafael Nadal) সেই সময়ের প্রথম র‍্যাঙ্কিংয়ের খেলোয়াড়কে একটানা ২৩ ম্যাচে হারিয়ে বিশ্বের মধ্যে নিজের নাম খোদাই করে রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *