Indian Railways: দাম্পত্য কলহের জের, তিন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হলো রেলকে। স্টেশন মাস্টারের দাম্পত্য কলহের জেরে তিন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হলো রেলকে। রাতে কর্তব্যরত অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে ঝগড়া করছিলেন স্টেশন মাস্টার। ঝগড়া চলাকালীন ফোনে একটি শব্দ ব্যবহার করেন তিনি। শব্দটি ছিল “ওকে”। এই ওকে শব্দটিকে গ্রীন সিগন্যাল হিসেবে ধরে নেন এক মালগাড়ির চালক। মাওবাদী অধ্যুষিত রেস্ট্রিকটেড এলাকায় ঢুকে পড়েন ট্রেন সহ। যার কারণে রেল কর্তৃপক্ষকে জরিমানা দিতে হয়েছে তিন কোটি টাকা।
যদিও এই ঘটনার কারণে কোন বড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়নি রেল কর্তৃপক্ষকে (Indian Railways)। বলা চলে বড় বিপদের হাত থেকে বেঁচে গেছে ওই মালগাড়িটি। স্টেশন মাস্টারের সামান্য ভুলে ঘটে যেতে পারত অনেক বড় দুর্ঘটনা। রেলের আইন ভঙ্গ এবং আর্থিক ক্ষতির কারণে সাসপেন্ড করা হয় ওই স্টেশন মাস্টারকে। এই ঘটনার পর সাংসারিক জীবনেও বিবাহবিচ্ছেদের সম্মুখীন হতে হয় সেই ব্যক্তিকে।
পূর্বে ভারতীয় রেলে (Indian Railways) কর্মরত অভিযুক্ত স্টেশন মাস্টার বিশাখাপত্তনমের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি ২০১১ সালে দুর্গের এক মহিলার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু বিবাহের পরও প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে চলছিল সেই মহিলা। এই কথা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন স্বামীর কাছে। স্বামীর উপস্থিতিতেই প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে আলাপচারিতা করতে দেখা গেছে স্ত্রীকে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত ঝামেলার মধ্যে জড়িয়ে পড়তে দেখা যেত অভিযুক্ত স্টেশন মাস্টার এবং তার স্ত্রীকে।
আরো পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে আবারো পাওয়া গেল কালা জ্বরের হদিশ, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে জারি সতর্কতা
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) প্রাক্তন ও অভিযুক্ত স্টেশন মাস্টারকে ফোন করেন তার স্ত্রী। ফোনে তাদের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এই আলোচনা চলাকালীন স্টেশন মাস্টার ফোনের মধ্যেই বলে ওঠেন ‘এ বিষয়ে আমরা বাড়িতে কথা বলব। ওকে!’ কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই কথা বলার সময় তার মুখের সামনে রাখা মাইক্রোফোনটি অন ছিল। আর মাইক্রোফোনে ওকে শুনে সেটাকে সবুজ সিগন্যাল ভেবে বসেন এক মাল গাড়ির চালক। যার ফলে ট্র্যাক ভুল করে সরাসরি প্রবেশ করেন মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায়। এই ঘটনার জেরে বড় কোন দুর্ঘটনার সম্মুখীন না হতে হলেও মালগাড়ি থেকে হওয়া লুটপাটের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল।
যদিও এখনো পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের (Indian Railways) তরফ থেকে কোন সরকারি নোটিশ জারি করা হয়নি। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, সেদিন ওই নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকে পড়ার কারণে রেল কর্তৃপক্ষকে জরিমানা দিতে হয়েছিল তিন কোটি টাকা। এই ঘটনার পর নির্দিষ্ট স্টেশন মাস্টারকে সাসপেন্ড করে রেল কর্তৃপক্ষ। সেই ক্ষোভ থেকেই স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করে বসেন ওই স্টেশন মাস্টার। তার স্ত্রীও তার বিপক্ষে নির্যাতনের মামলা করেন। শেষমেষ ছত্রিশগড় হাইকোর্ট বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমতি দেয়। এই মামলার শুনানি চলাকালীনই উঠে এসেছে রেল কর্তৃপক্ষের হওয়া এই আর্থিক ক্ষতির তথ্যগুলি।