Guidelines for Borrowers: ঋণ পুনরুদ্ধারে নয়া নির্দেশিকা RBI-এর! ঋণগ্রহীতারা কি করবেন?

Guidelines for Borrowers: করোনা পরবর্তী সময় থেকে আর্থিক আয় উন্নতির যা অবস্থা তাতে করে স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আর সেই সব সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই বহুদিন থেকেই লোনের ব্যবস্থা চালু হয়ে আসছে। যে লোন নিয়ে নিজেদের শখ পূরণ করতে পারছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু ঋণ পুনরোধনের সময় সমস্যায় পড়তে হয় অনেক মানুষকে। ঠিকঠাক সময়ে টাকা না দিতে পারায় এজেন্টের কাছে হুমকি, অপমানিত হতে হয় সেইসব মানুষকে। এবার সেই ঋণগ্রহীতাদের অধিকার রক্ষার্থেই বেশ কিছু নির্দেশিকা (Guidelines for Borrowers) জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। যা দাতা-গ্রহীতা উভয়কেই মানতে হবে। তা না হলেই নেওয়া হবে আইনানু ব্যবস্থা।

RBI-এর নির্দেশিকায় (Guidelines for Borrowers) বলা হয়েছে ঋণ পুনরুদ্ধারের সময় সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হবে ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তারা ঋণগ্রহীতাদের থেকে ঋণ পুনরুদ্ধার করতে যেতে পারবেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের এজেন্টরা ঋণগ্রহীতাদের ওপর কোনো বলপ্রয়োগ বা হুমকি দিতে পারবে না। যদি কোনো কারণবশত ঋণগ্রহীতাদের হয়রানির শিকার হতে হয় তাহলে তারা ব্যাঙ্কে গিয়ে সেই এজেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারেন। সমাধান না হলে তারা যোগাযোগ করতে পারেন ব্যাঙ্কিং লোকপালের সাথে।

এছাড়াও নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে ঋণ সুরক্ষার ক্ষেত্রে ঋণাদাতাদের সম্পত্তি জব্দ করার SARFAESI আইনগত অধিকার রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির। তবে তথ্য ছাড়া তা করার অধিকার নেই ব্যাঙ্কগুলি। একপ্রকার বাড়ির মালিকানা, সম্পত্তি বন্ধক রেখেই ঋণ দেওয়া হয় গ্রাহকদের। একটা সময়ের পর সেই ঋণ না দিতে পারলে তা ব্যাঙ্কের কাছে বিক্রি করতে হয় গ্রাহকদের। সেক্ষেত্রেও RBI জানিয়েছে যেকোনো ঋণ পুনরোধনের জন্য যেকোনো ঋণগ্রহিতাকে ৯০ দিন সময় দিতে হবে। সেই ৯০ দিন পরেই তার সম্পত্তি অনিষ্পাদিত বলে শ্রেণীবদ্ধ করা যাবে।

আরো পড়ুন: ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ে দুশ্চিন্তার খবর জানালেন শক্তিকান্ত দাস জেনে নিন কি সেই খবর

অর্থাৎ কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে ব্যাঙ্কগুলিকে এই ৯০ দিনের মধ্যে ৬০ দিনে ঋণ পুনরোধনের একটি নোটিশ পাঠাতে হবে ঋণগ্রহীতার (Guidelines for Borrowers) কাছে। এই সময়ের মধ্যেও যদি ঋণ ডিফল্টার ঋণ শোধ না করে তাহলে সেই ঋণগ্রহীতার সম্পত্তি বিক্রির উদ্দেশ্যে এবং তার মূল্যায়ন সহ বিস্তারিত লিখে অতিরিক্ত ৩০ দিনের একটি নোটিশ পাঠাতে হবে। অর্থাৎ এই ৩০ দিনের নোটিশে আর্থিক প্রতিষ্ঠান তরফে উল্লেখ করতে হবে সেই সম্পত্তির মূল্য, সংরক্ষিত মূল্য এবং নিলাম বিষয়ে। যে অর্থ দিয়ে ঋণ পুনরোধন করতে পারবেন ঋণগ্রহীতা। পাশাপাশি সেই সম্পত্তির মূল্যের অতিরিক্ত যে মূল্য থাকবে তা ঋণগ্রহীতাকে ফিরিয়ে দিতে হবে।

এছাড়াও RBI-এর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা এজেন্টদের ঋণগ্রহীতাদের সাথে অকথ্য ভাষায় বলা যাবে না। ঋণগ্রহীতাদের পরিবারের সদস্য বা অন্যান্যদের যাতে হয়রানিতে না ফেলা হয়। অযথা সময়ে ঋণগ্রহীতাদের সাথে যোগাযোগ না করা হয়। নোটিশ ছাড়া ঋণগ্রহীতাদের সম্পত্তি জব্দ না করা হয় এবং ঋণগ্রহীতাদের সহিত খারাপ আচরণ যেন না করা হয়। তাদেরকে যেন সঠিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না করা হয়। মূলত আর্থিক সংকটকালীন সময়েই এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ঋণগ্রহীতাদের। তাই যাদের এই সমস্যায় পড়তে হয় তাদের সচেতন করার জন্যই এই নির্দেশিকা (Guidelines for Borrowers) আরবিআইয়ের। যার ফলে এই নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে ঋণগ্রহীতাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে ব্যবস্থা নিতে পারে ঋণগ্রহীতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *