RBI: অস্বীকার করা যাবে না ১, ৫ অথবা ১০ টাকার কয়েন, সতর্ক করল আরবিআই। খুচরো নিয়ে সমস্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। বাজারে খুচরো নোট বা কয়েনের সংখ্যা দিন দিন কমছে। তবে এখন যুগ পাল্টেছে। ক্যাশ ট্রানজেকশনের পরিবর্তে বাড়ছে অনলাইন ট্রানজেকশনের প্রবণতা। তাই হয়তো অনেকাংশেই খুচরো টাকার সমস্যাটা উপলব্ধি করতে পারছি না আমরা। কিন্তু যারা অনলাইন ট্রানজেকশনের সাথে অভ্যস্ত নন তারা এই সমস্যাটা বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন। সমস্ত সমস্যা মেটাতে সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) তরফ থেকে সতর্কতা জারি করা হলো গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) তরফ থেকে সরাসরি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে সর্বসাধারণের উদ্দেশ্যে। ১, ৫ অথবা ১০ টাকার কয়েন নিতে অস্বীকার করলেই বিপদে পড়তে হবে গ্রাহককে। বাজারে সব থেকে বেশি সমস্যা সৃষ্টি হয় ছোট ১ টাকার কয়েন, ৫ টাকার নোট, কিছু ক্ষেত্রে ১০ টাকা ও ৫ টাকার কয়েনের ক্ষেত্রেও। বেশিরভাগ মানুষই এই ধরনের নোট বা কয়েনগুলি নিতে অস্বীকার করছেন। বাজার দোকানে গিয়ে একদিকে যেমন সমস্যায় পড়ছেন গ্রাহক অন্য দিকে সমস্যায় পড়ছেন ক্রেতাও। কিন্তু এই সমস্ত নোটগুলিকে অস্বীকার করা একেবারেই বেআইনি।
শহুরে অঞ্চলে এই সমস্ত ছোট ১ টাকার কয়েন বা অন্যান্য নোট নিয়ে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয় না। তবে ছোট বাজার গুলিতেই এই সমস্যা সব থেকে বেশি পরিমাণে দেখা যায়। বিশেষত ছোট ১ টাকার কয়েন নিয়ে মফস্বল এলাকায় তো রীতিমত নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে গেছে। কাউকে ছোট ১ টাকার কয়েন দেওয়া হলে সে তা অস্বীকার করে এবং কারণ হিসেবে জানাই এই কয়েন নাকি বাজারে চলে না। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে কি সত্যিই এই কয়েনটিকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে? এই প্রশ্নেরই উত্তর দিল আরবিআই (RBI)।
আরো পড়ুন: পরিবর্তিত হলো প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার নিয়ম, বাড়লো অর্থের পরিমাণ
মানুষের মুখে মুখে রটে যাওয়া গুজব এই সমস্ত বিভ্রান্তির কারণ বলে জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। তারা স্পষ্ট ভাষায় কোন কয়েনটি বৈধ এবং কোন কয়েনটি অবৈধ তা নিশ্চিত করেছে। আরবিআই এর তরফ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়েছে ২৫ পয়সা অথবা তার কম পরিমাণ অর্থের কয়েনগুলিকে বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তরফ থেকে। কিন্তু ২৫ পয়সার ঊর্ধের কোন কয়েনকেই এখনো পর্যন্ত আরবিআই বাতিল বলে ঘোষণা করেনি। এমনকি ৫০ পয়সার কয়েনও নয়। এই কয়েনটি অলিখিতভাবে প্রায় নিষিদ্ধ হয়ে গেছে, শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের ভুল ধারণার কারণে। যদিও আরবিআই এর পক্ষ থেকে ৫০ পয়সার উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে কোন ব্যক্তির কাছে যদি ৫০ পয়সা থেকে থাকে এবং তিনি যদি তা ব্যবহার করতে চান তবে তা আইনত বৈধ।
১ টাকা থেকে শুরু করে ২০ টাকা পর্যন্ত কয়েনগুলি প্রত্যেকটি সার্বিকভাবেই বৈধ। কিছু ক্ষেত্রে কয়েনের আকারে পরিবর্তন করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার মানে সেই কয়েনটি অবৈধ বা পুরনো কয়েনটি অবৈধ এমন কোন ঘোষণা করা হয়নি রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে। ১ টাকার পুরনো কয়েন এবং নতুন ছোট কয়েন সম্পূর্ণ বৈধ। ১, ২, ৫, ১০ অথবা ২০ টাকার কয়েনগুলি কোন গ্রাহক যদি নিতে অস্বীকার করেন তাহলে তা রীতিমত বেআইনি বলে গণ্য করা হবে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৮৯ (এ) এবং ৪৮ (ই) ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যেতে পারে। সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন।