Howrah Bridge Closing: শনিবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ ছিল হাওড়া ব্রিজ, কিন্তু কেন?

Howrah Bridge Closing: ৮১ বছরের পুরনো আইকনিক হাওড়া সেতু, যা কলকাতা এবং হাওড়া শহরগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। কলকাতার শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি পোর্ট ঘোষনা করেছিল যে, শনিবার এবং রবিবার মধ্য রাতে পাঁচ ঘন্টা হাওড়া ব্রিজের ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ (Howrah Bridge Closing) থাকবে। এই ব্রিজ দীর্ঘ ৫ ঘণ্টার জন্য বন্ধ (Howrah Bridge Closing) রাখার ফলে হাওড়া থেকে কলকাতা গামী বা কলকাতা থেকে যে সমস্ত গাড়ি হাওড়ায় আসে সেই গাড়িগুলি ঘুর পথে চলাচল করে।

এর ফলে হাওড়া থেকে কলকাতাগামী গাড়িগুলি ফরশোর রোড হয়ে বিদ্যাসাগর সেতু পার করে কলকাতায় প্রবেশ করে। এছাড়া অন্যভাবে দক্ষিণ হাওড়া ও পশ্চিম হাওড়া থেকে গাড়িগুলি যারা উত্তর কলকাতার দিকে যায় সেগুলি নিবেদিতা সেতু বা বালি ব্রিজ পার করে গোলাবাড়ি এলাকা ক্রস করে পার হয়। এই এক রাস্তা দিয়েই কলকাতার গাড়িগুলি প্রবেশ করে হাওড়ায়।

আরো পড়ুন: ট্রাম ডিপো ভেঙে গড়ে উঠবে ফ্ল্যাট ক্যাফে, শুরু হয়েছে প্রমোটারি খেলা

আসলে হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বন্ধ রাখা যান চলাচল। কলকাতার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, ৪০ বছর ধরে চালু থাকার পর, ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে সেতুটির সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। এবার হাওড়া ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি পাবলিক সেক্টর প্রতিষ্ঠান RITES Ltd দ্বারা সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। সেতুটি, একটি সাসপেনশন-টাইপ সুষম ক্যান্টিলিভার কাঠামো, যা বিশ্বের ষষ্ঠ দীর্ঘতম হিসেবে পরিচিত।

হুগলি জুড়ে বিদ্যাসাগর সেতু নির্মাণ করা সত্ত্বেও, হাওড়া ব্রিজটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম। আনুমানিক ১০০,০০০ যানবাহন এবং ১,৫০,০০০ পথচারী প্রতিদিন সেতুটি অতিক্রম করে। হাওড়া ব্রিজের এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো ভীষন গুরুত্বপূর্ণ তার কারণ এই সেতুর ব্যাপক ট্র্যাফিক পরিচালনা করতে হয়। এটি এমন একটি আইকনিক কাঠামো যা শিল্পী, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং সাধারণ মানুষের ব্যস্ততাকে ধরে রেখেছে। ব্রিজটি ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চালু করা হয়েছিল, এমনকি জাপানিরা কলকাতায় বোমা ফেলে হামলা চালাচ্ছিল। জাপানি বোমারু বিমানের হাত থেকে ব্রিজটিকে নিরাপদ রাখতে রাতেই কমিশনিং করা শুরু করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *