যেসব গ্রাহকদের স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বা এসবিআই-তে একাউন্ট রয়েছে তাদের প্রায় সকলেরই একাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে ২৩৬ টাকা। দেশের বৃহত্তম এই ব্যাংকে গ্রাহকদের একাউন্ট থেকে এই টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ আসছে বহুদিন ধরেই। তবে কেনো? কারণ জানতে আজকের প্রতিবেদনটি শেষ অবধি পড়ে নিন।
বর্তমানে গোটা ভারত জুড়ে প্রায় ৫০ কোটির বেশি গ্রাহক রয়েছে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াতে। এত গ্রাহকের বেশিরভাগের একাউন্ট থেকে হঠাৎ করে কেনো ২৩৬ টাকা কেটে নেওয়া হলো তার জন্য চিন্তিত রয়েছেন অনেকেই। বর্তমানে এই ব্যাংক ডিজিটালাইজেশনের আওতায় এসেছে। বর্তমানে গ্রাহকদের আরও এফোর্টলেস পরিষেবা দেওয়ার জন্য ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং এবং ইয়োনো চালু করেছে এই সংস্থা। যার ব্যবহার করে দেশের বড় শতাংশ মানুষ নিরাপদে অনলাইনে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা গ্রহণ করতে পেরেছে। এছাড়াও ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ডের ব্যবহারেও একাধিক সুবিধা দিয়ে আসছে এসবিআই।
স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার গ্রাহকরা যদি নিজেদের পাসবই ঠিকঠাক যাচাই করে দেখেন তবে নিশ্চয়ই ২৩৬ টাকা করে কয়েকবার কাটা হয়েছে এমনটা অনেকেই দেখতে পাবেন। তথ্য বলছে এসবিআই নিজেই গ্রাহকদের এই টাকা কেটে নেয়। এখন সকলের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে কেনো কাটা হয় টাকা? এর উত্তর হলো ভারতীয় স্টেট ব্যাংক তার মেইনটেন্যান্স, সার্ভিস ফি এবং ডেবিট কার্ড ব্যবহারের জন্য এই টাকা কেটে নিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের জন্য স্বস্তির খবর, ব্যাংক জালিয়াতি ঠেকাতে নয়া উদ্যোগ নিল আরবিআই
এসবিআই নিজের গ্রাহকদের জন্য একাধিক ধরন এবং সুবিধা যুক্ত ডেবিট কার্ড রেখেছে। যার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো ক্লাসিক, গ্লোবাল, সিলভার ইত্যাদি। এর এই সব কার্ড ব্যবহারের চার্জ হিসেবে কেটে নেওয়া হয় নূন্যতম ২০০ টাকা। তবে প্রশ্ন থাকে আর অতিরিক্ত ৩৬ টাকা কেনো কাটে? আসলে এই ৩৬ টাকা আসলে কেন্দ্র সরকারের অতিরিক্ত ১৮ শতাংশ জিএসটি। অর্থাৎ সরকার ব্যাংকের উপর যে জিএসটি আরোপ করে সেই অর্থ ব্যাংক নিজে না দিয়ে গ্রাহকদের একাউন্ট থেকে কেটে নেয়।
২০০ টাকার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি ধরা হলে হিসেব করে অতিরিক্ত ৩৬ টাকা কেটে নেওয়া হয় স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার তরফে। আর এই কারণেই গ্রাহকদের একাউন্ট থেকে ২৩৬ টাকা কেটে নেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। তাহলে সবার মনে ২৩৬ টাকা কাটা যাওয়ার জন্য যে কৌতূহল জন্মেছিল অবশেষে তার কিনারা পাওয়া গেছে। তবে যদি কোনো গ্রাহক এসবিআই-এর দামী কোনো কার্ড ব্যবহার করে থাকেন তবে তার ক্ষেত্রে কেটে নেওয়া অর্থের পরিমাণও বেশি হবে।