Ro Ro Vessel: কলকাতার মতো ব্যস্ত শহরে রাস্তা ঘাটে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ কোনোভাবেই অস্বাভাবিক নয়। শহরের দুই অন্যতম ব্যস্ত সেতু হলো দ্বিতীয় হুগলি সেতু এবং রবীন্দ্র সেতু। ফলে এই দুই সেতুর চাপ কমাতে ভারী যান চলাচলের পরিবহনের ক্ষেত্রে বিকল্প পরিবহণ ব্যবস্থার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার।
মালবাহী যানের পারাপারের জন্য এবার আর সেতু নয়, গঙ্গা পারাপার করাবে রো রো ভেসেল (Ro Ro Vessel)। এই ভেসেলে চেপেই গঙ্গা পার হবে ভারী মালবাহী গাড়িগুলি। এদিন শালিমারে একটি রো রো ভেসেলের উদ্বোধন করে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী এই বিষয়েই বক্তব্য রাখেন। যদিও এদিনের ভেসেলটি উদ্বোধন করা হয়েছে গঙ্গাসাগরের কথা মাথায় রেখেই। এদিন মন্ত্রী জানান গঙ্গাসাগরে এটি দ্বিতীয় রো রো ভেসেল। ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভেসেলটি তৈরি হয়েছে।
এই রো রো (Ro Ro Vessel) শব্দের অর্থ রোল অন, রোল অফ। এই পদ্ধতিতে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় মালবাহী বা যাত্রীবাহী গাড়ি জলপথে বিচরণ করে। এদিন পরিবহণ মন্ত্রী জানান এবার গঙ্গা বক্ষেও একই দৃশ্য দেখা যেতে চলেছে। আরও একটি নতুন রো রো ভেসেল আনা হবে গঙ্গায়। যাতে বড় গাড়ি বহন করা হবে। যাত্রীরাও পারবেন পারাপার হতে। একটি রো রো ভেসেল একসাথে ৬টি ট্রাক সহ ৫০ জন যাত্রী পারাপার করতে পারবে বলে জানা যাচ্ছে।
আরো পড়ুন: নার্ভাস নাইন্টিনে আউট শ্রীরামপুর বাগবাজারের বিখ্যাত বাস রুট
আপাতত গঙ্গাসাগরের মেলার জন্য এই রো রো ভেসেল (Ro Ro Vessel) কাজে লাগানো হচ্ছে। এদিন স্নেহাশীষ চক্রবর্তী জানান গঙ্গার দুই পাড়ে বড়ো বড়ো গাড়ি যাতায়াত করার জন্য এই ভেসেলগুলি কাজে লাগানো হবে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর বাড়ছে যানজট। ফলে বিপন্ন হচ্ছে জনজীবন। তাই ভোগান্তি দূর করতে রো রো ভেসেলের উপর জোর দিচ্ছে। শুধু মানুষ নয়, ট্রাক বা গাড়িও এই ভেসেলে যাতায়াত করতে পারে।
জানা যাচ্ছে প্রথমে রায়চক থেকে কুমরোহাটি পর্যন্ত যানবাহন পারাপার করে দেখা হবে রো রো ভেসেলের (Ro Ro Vessel) মাধ্যমে। গার্ডেনরিচ থেকে শালিমার ছাড়াও আরো দুটি গন্তব্য স্থির করা হয়েছে। পরবর্তী কালে শালিমার থেকে গার্ডেনরিচ পর্যন্ত এই রো রো ভেসেল চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহণ দপ্তর। এর জন্য ইতিমধ্যেই দুটি স্থানে রো রো ভেসেল চালানোর জন্য জেটি তৈরির জায়গা নির্বাচন পদ্ধতি শুরু হয়েছে।