Roddur Roy: গত ৯ই আগস্ট আরজিকরে ঘটে যাওয়া নৃশংস মৃত্যু নাড়া দিয়েছে সকলের মনকে। শুধুমাত্র সাধারণ মানুষ নয়, ডাক্তার থেকে শুরু করে টলিউড-বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা প্রতিবাদের সামিল হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার পরপর চারিদিকে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছিল। রাতের পর রাত জেগে প্রতিবাদ চালিয়েছে মেয়ে ও মহিলারা। দীর্ঘ অনশনে বসেছেন ডাক্তাররা। ডাক্তারদের প্রতিবাদে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির হলেও এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি অভয়ারাকাণ্ডের সুরাহা মেলেনি। এবার এই আরজিকরের কাণ্ডে মুখ খুললেন রোদ্দুর রায় (Roddur Roy)।
এমন সময় আরজিকর কান্ড নিয়ে মন্তব্য করে উঠেছেন রোদ্দুর রায় রোদ্দুর রায় (Roddur Roy)। নামটি সম্পর্কে বিশেষ কোন পরিচিতি না বললেও চলে। রোদ্দুর রায় হলেন একজন ভারতীয় ঔপন্যাসিক, কবি, চলচ্চিত্র নির্মাতা, আধ্যাত্মবাদী গুরু, ইউটিউবার এবং একজন শিল্পী। শিল্পের পরাবাস্তববাদী এবং উত্তর-আধুনিকতাবাদী উভয় ভাষাতেই তিনি গত দুই দশক ধরে বিভিন্ন শিল্প মাধ্যমে কাজ করছেন। তিনি মক্সিজম, স্বাধীনতা, প্রেম এবং শান্তির চর্চার প্রতিষ্ঠাতা-একজন প্রতিষ্ঠাতা। এসবকে ছাপিয়ে তার প্রধান পরিচয় হলো তিনি স্পষ্টবাদী। রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রী হোক বা অন্য কেউ তিনি সপাটে মুখের ওপর জবাব দিতে পিছপা হন না।
একটি ভিডিও এর মাধ্যমে তিনি জানান যে, শাসকদল আসলে পুলিশ নামটির আড়ালে একদল চামচা পুষে রেখেছেন। এই সমস্ত চামচা দিয়ে সাধারণ মানুষকে চুপ করিয়ে প্রশাসন তাদের খেলা দেখিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ কেন যে এই মুখোশটা খুলে দিতে পারছে না সেটাতে সন্দেহ প্রকাশ করছেন তিনি। তার কথায় স্পষ্ট যে, তিনি অভয়া কান্ডের ব্যাপারে সম্পূর্ণরূপে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে শাসক দলকেই দায়ী করছেন।
আরো পড়ুন: উপনির্বাচনে বাংলার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি, রয়েছে একাধিক নতুন মুখ
যেহেতু তিনি স্পষ্টবাদী, তাই তিনি প্রতিবাদীদের কুকুরের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন তারা নাকি মিছিমিছিই রাস্তায় রাস্তায় ঘেউ ঘেউ করে চলেছে। রাতের পর রাত দখল, রাস্তাঘাটে দেওয়াল লিখন, পোস্টার লিখন চালিয়ে, অলিতেগলিতে জনসমাগম করে কেবলই চিৎকার চেঁচামেচি করছে। এই সমস্ত অলিতে-গলিতে রাস্তাঘাটে আন্দোলন করে কিছুই হবে না। তার কারণ এতে প্রশাসন বা সরকার কেউই তোয়াক্কা করছে না বা ভবিষ্যতেও করবে না। তারা বরং চার দেয়ালের মধ্যে থেকে এই সমস্ত আন্দোলন বা প্রতিবাদের মজা নেবে।
রোদ্দুর রায় (Roddur Roy) সমস্ত প্রতিবাদীদেরকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও করতে বলেছেন। তিনি বলেছেন একমাত্র প্রতিবাদ তখনই সফল হবে যখন মুখ্যমন্ত্রীর গন্তব্যস্থলে গিয়ে সবাই চেঁচামেচি করবে, হৈ-হুল্লোড় করবে, বিরক্ত করবে। ওসব পুলিশ দিয়ে কোন কাজ হবে না। প্রিন্সিপালকে জনগণের হাতে ছেড়ে দিতে হবে, তবেই হবে আসল বিচার।