RSV Virus: রাজ্যের নতুন আতঙ্ক RSV ভাইরাস! আক্রান্ত হচ্ছে শয়ে শয়ে শিশু। ওষুধের ঠিকঠাক কাজ না হওয়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসকমহল। তবে এবার আর বড়দের নয় বরং আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাই। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও বেড়ে চলেছে একাধিক আক্রান্তের সংখ্যা। শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার খবরে আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে।
সবে করোনার থাবা থেকে মুক্তি পেয়েছে বিশ্ব। এর মাঝেই নতুন এই ভাইরাসের উৎপাতে চিন্তিত চিকিৎসা জগৎ। ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় রেসপিরেটরি সিন্সিশিয়াল ভাইরাস (RSV Virus)! ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস সহজেই চিন্তা বাড়াতে শুরু করেছে। মূলত এক বছরের কম বয়সী শিশুদের এই ভাইরাস বেশি আঘাত করতে পারছে। পূর্বমেদিনীপুরে ইতিমধ্যে এই ভাইরাসের প্রভাব বেশি দেখা দেওয়ায় উদ্বিগ্ন রয়েছেন আক্রান্ত শিশুদের পরিবারও। জানা যাচ্ছে এই ভাইরাসের লক্ষণ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে বাচ্চাদের জ্বর ও কাশি জনিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শিশুদের মধ্যে মূল যে উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তা হলো শ্বাসকষ্ট। হুহু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া ও ঝাড়গ্রাম জেলায় এই ভাইরাসের প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সূত্রের খবর কোলাঘাটের একটি বেসরকারি শিশু হাসপাতালে গত কয়েক দিনে ৫০ জনেরও বেশি শিশু RSV ভাইরাসে (RSV Virus) আক্রান্ত অবস্থায় ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে। শিশু চিকিৎসকদের মতে এই যে ঋতু পরিবর্তন শুরু হয়েছে, এই সময়েই ভাইরাস ঘটিত সমস্যা বেশি দেখা যায় শিশুদের মধ্যে।
আরো পড়ুন: বাংলায় বাতিল লাখ লাখ ওবিসি সার্টিফিকেট, সুপ্রিম কোর্টের বিচারে হতবাক সকলে
জানা যাচ্ছে বাড়ির বড়দের থেকেই শিশুদের দেহে এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে। যা নিঃসন্দেহে নিউমোনিয়া রোগ নয়। এই ভাইরাস আসলে শিশুদের শ্বাসনালীর উপর আক্রমণ করছে। যার ফলে শিশুদের শ্বাসনালীতে ইনফেকশন তৈরি হচ্ছে এবং এর থেকেই শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই ভাইরাস (RSV Virus) কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলেই সরিয়ে তোলা সম্ভব।
এই RSV ভাইরাস আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ডাক্তাররা পরামর্শ দিচ্ছেন করোনার সময়ের মতো বারবার হাত ধোয়া এবং মাস্ক পড়ার মতো সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বাইরে থেকে এলে ভালো করে হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। তবে এই ভাইরাসের (RSV Virus) কোনো ভ্যাকসিন বা ওষুধ নেই ফলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থেকে শিশুদের সুস্থ রাখতে হবে বলে জানাচ্ছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা।