সারা বিশ্বের মরুভূমিগুলির মধ্যে অন্যতম মরুভূমি হল সাহারা মরুভূমি। পৃথিবীর বৃহত্তম মরুভূমি বলা হয় সাহারাকে। অন্যদিকে আবার ‘দ্য গ্রেট ডেজার্ট’ নামে আখ্যায়িত এই বিশ্ব বিখ্যাত সাহারা মরুভূমি (Sahara Desert)। এখানকার আবহাওয়া অত্যন্ত উষ্ণ এবং শুষ্ক। দিনের বেলা যেমন প্রচন্ড গরম তেমনি রাতের বেলা অনুভূত হয় ঠান্ডা। জলের অভাবে সেখানে তেমন কোনো গাছপালা বেড়ে ওঠে না। দেখা যায় শুধু কাঁটা, গুল্ম জাতীয় গাছ। সাম্প্রতিক সেই মরুভূমিতেই ফুটে উঠেছে এক অস্বাভাবিক দৃশ্য। যা দেখে গভীর চিন্তায় বিজ্ঞান সমাজ। কি দৃশ্য ধরা পড়ল সাহারা মরুভূমিতে? সেই নিয়ে চিন্তামগ্ন কেন বিজ্ঞানীরা?
মরুভূমি শব্দটি মাথায় এলেই আমাদের চোখের মধ্যে যেটা ভেসে ওঠে তা হল জলহীন ধুধু মরুভূমি এবং অস্বস্তিকর গরম। সেই মরুভূমি হল সাহারা মরুভূমি (Sahara Desert)। তবে এবার সেই মরুভূমিতেই দেখা গেল প্রাকৃতিক বদল। রুক্ষ মরুভূমি তৈরি হয়েছে টইটুম্বুর হ্রদে। কিন্তু কেন? কিভাবেই বা সৃষ্টি হল এই হ্রদের?
বিজ্ঞানের কথায় রুক্ষ সাহারা মরুভূমিতে এই বানভাসি পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কারণ হলো অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি। শেষ অর্ধশতকে প্রবল বর্ষণ হয়েছে মরোক্কায়। আর তারই প্রভাবে মরুভূমিতে সৃষ্টি হয়েছে হ্রদ। যে পরিস্থিতির ছবি ফুটে উঠেছে নাসার উপগ্রহ চিত্রে। যা আগে কখনো দেখা যায়নি। আর এই দেখেই গভীর চিন্তায় বিজ্ঞান সমাজ। কেন চিন্তা মগ্ন বিজ্ঞানীরা? মরুভূমি জলে পরিনত হওয়ায় কি কোনো ভয়ানক আশঙ্কা রয়েছে? কি বলছে বিজ্ঞান?
আরো পড়ুন: এক ছাদের তলায় ২০ হাজার মানুষ! তৈরি হল এমনই একটি আবাসন, কিভাবে সম্ভব?
বিজ্ঞানের পরিভাষায় ধু ধু মরুভূমিতে জলের সৃষ্টি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। মরুভূমির এই প্রাকৃতিক পরিবর্তনে বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রকৃতির গতি। বৃদ্ধি পেতে পারে বাতাসের আর্দ্রতা। এছাড়াও আশঙ্কা রয়েছে ভয়ানক ঝড়ের। তাই হঠাৎ মরুভূমির এই প্রাকৃতিক বদলে গভীর চিন্তামগ্ন বিজ্ঞান সমাজ।
প্রসঙ্গত মরুভূমি মানেই যে সেখানে জলের দেখা নেই তা নয়। সাহারা মরুভূমিতে মাঝে মধ্যে অল্প বিস্তর বৃষ্টি পরিলক্ষিত হয়। তবে গত সেপ্টেম্বর মাসে টানা ২ দিন অতিভারী বৃষ্টির কারণে পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে নয়া রেকর্ড গড়েছে সাহারা মরুভূমি (Sahara Desert)। বিজ্ঞানীদের উক্তি গত অর্ধশতকে এই ধরনের প্রবল বর্ষণ দেখা যায়নি। ফলেই গত মাসের প্রবল বর্ষণে বানভাসি পরিস্থিতি রুক্ষ সাহারা মরুভূমিতে।