Article 370: জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় বাঁধলো ধুন্দুমার কান্ড, কারণ ৩৭০ ধারা। অধিবেশন চলাকালীন হঠাৎই জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় শুরু হয় গন্ডগোল। ৩৭০ ধারাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় হইচই। ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনা হবে কিনা তাই নিয়ে শুরু হয় হইচই। বেশিরভাগের সমর্থনে এই প্রস্তাব স্বীকৃত হলে, বেঁধে যায় ধুন্দুমার কান্ড। ৩৭০ ধারার বিপক্ষে কথা বলতে শোনা যায় বিজেপি বিধায়ককে।
গত বুধবার ৫ই নভেম্বর ২০২৪ জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ৩৭০ ধারা (Article 370) ফিরিয়ে আনা নিয়ে নতুন করে প্রস্তাব পেশ করা হয়। বর্তমান শাসকদল ন্যাশনাল কনফারেন্সে এই প্রস্তাব পেশ হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায় চেঁচামেচি। জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক বিজেপি বিধায়ককে বিরোধিতা করতে দেখা যায় এই প্রস্তাবের বিপক্ষে। যদিও এত হইচই করে কোন লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ধনী ভোটের মাধ্যমে স্বীকৃতি পায় এই প্রস্তাব।
নির্দিষ্ট দিনে বিধানসভায় ৩৭০ ধারা (Article 370) ফিরিয়ে আনা নিয়ে প্রস্তাব পেশ করে পিডিপি এবং পিপলস। কনফারেন্সে পেশ করা প্রস্তাবে পরিষ্কার ভাষায় লেখা ছিল ২০১৯ সালের আগে জম্মু-কাশ্মীর যতটা সম্মান পেতো সেই সম্মানটাই ফেরত নিয়ে আসতে হবে। আর তার জন্য প্রয়োজন ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনা। সেই কারণে ৩৭০ ধারাকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব পেশ করা হয় বিধানসভায়। জম্মু-কাশ্মীরের পুরনো সম্মান, ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এই ধারাটি প্রয়োজন বলে মনে করেছেন তারা।
আরো পড়ুন: ভারতের চেনাব ব্রিজকে ঘিরে চীনের ষড়যন্ত্র, কাজে লাগানো হলো পাক গুপ্তচরদের
জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় অধিবেশন বহুদিন বন্ধ ছিল। প্রায় ছয় বছর পর সেখানে অধিবেশনের আয়োজন করা হয়। অধিবেশনের প্রথম দিন অর্থাৎ সোমবারই শুরু হয় উত্তেজনা। কারণ ছিল ৩৭০ ধারা (Article 370) ফিরিয়ে আনা। সেই উত্তেজনাই বুধবার দিন ব্যাপক আকার ধারণ করে। অনেক মত বিরোধ, মত পার্থক্যের পর শেষ পর্যন্ত ধনী ভোটের মাধ্যমে ৩৭০ ধারা পুনরায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।
সেদিন বিধানসভায় পিডিপির বিধায়ক ওয়াহিদ পাররা ৩৭০ ধারা (Article 370) বাতিল করার বিপক্ষে প্রস্তাব পেশ করেন। এই প্রস্তাব পেশ করার সাথে সাথেই বিজেপি বিধায়করা শুরু করেন বিরোধিতা। রীতিমতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বিধানসভায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছিল। স্বয়ং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ধারাটি বাতিল করেছিলেন। যার ফলে জম্মু-কাশ্মীরকো একটি নতুন রাজ্য রূপে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। মূল রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয় একটি লাদাখ অপরটি জম্মু-কাশ্মীর।