Semen: প্রতিটি ছেলে-মেয়ে বিবাহের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীতে পরিণত হয়। নতুন জীবনে পদার্পণ করে একটি নতুন সংসার গড়ে তোলে। আর সেই সংসার পরিপূর্ণ করার জন্য স্বামী-স্ত্রী উভয়ে সিদ্ধান্ত নেয় দুই থেকে তিন হওয়ার। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনো কোনো সংসারে স্বামী বা স্ত্রী যে কারোর শারীরিক সমস্যার জন্য সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে তারা অক্ষম হয়। বিশেষ করে পুরুষদের শুক্রাণু (Semen) সংখ্যা কমে গেলে পুরুষ বন্ধ্যাত্ব তৈরি হয়। যা বিশেষত ভিটামিন এবং জিংকের অভাবে ঘটে থাকে। যা সন্তান জন্মদিতে অক্ষমতা প্রকাশ করে।
WHO-এর মতে একটি পুরুষের প্রতি মিলিমিটারে যদি ১৫ মিলিয়ন শুক্রাণু থাকে তাহলে তা পরিপক্ক। এর কম থাকলেই সেটা বন্ধ্যাত্ব তৈরি করে। তবে চিন্তার কারণ নেই খাদ্যাভাসের তালিকায় বিশেষ কিছু খাবার রাখলেই এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণ শুক্রাণুর বৃদ্ধি ঘটে। তাই সময় নষ্ট না করে জেনে নিন প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কোন কোন খাবার সহায়তা করে।
টমেটো
নানান সবজির মধ্যে টমেটো এমন একটি সবজি যা বহুগুণ সম্পন্ন। এই সবজিতে রয়েছে লাইকোপেন নামক একটি উপাদান। এছাড়াও এই টমেটোতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শুক্রাণুর (Semen) ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই বীর্যের পরিমাণ বাড়াতে টমেটো বেশ উপকারী।
ওয়ালনাট
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত এই বাদামের রয়েছে বিশেষ কার্যকারিতা। যা স্যালাড কিংবা স্ন্যাক্সের সাথে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। বিজ্ঞানের ভাষায় শুক্রাণুর ক্ষমতা, ক্ষিপ্রতা বাড়াতে প্রতিদিন ৭০ গ্রাম ওয়ালনাট খাওয়া খুবই উপকারী।
আরো পড়ুন: রক্তের গ্রুপ থেকেই জেনে নিন ভবিষ্যতে কোন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি
কুমড়ো বীজ
প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকরী আরো একটি খাদ্য হল কুমড়ো বীজ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রয়োজনীয় অ্যাসিড এবং ফাইটোস্টেরল। যা পুরুষদের বীর্যের পরিমাণ যেমন বাড়াবে তেমনি ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কার্যকরী হবে।
ব্ল্যাক চকলেট
পুরুষ বন্ধ্যাত্ব কাটাতে অবশ্যই ব্ল্যাক চকলেট খাওয়া উচিত। কারণ এই ব্ল্যাক চকলেটে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, এল. আরজিন। যা শুক্রাণুকে (Semen) ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। শুক্রাণুর মান নষ্ট করার সাথে লড়াই করে এই উপাদান। শুক্রাণুর গুণগত মান বৃদ্ধিতে প্রতিদিন এক টুকরো করে ব্ল্যাক চকলেট খাওয়া উচিত।
তবে উল্লেখ্য বিষয় যেসব পুরুষরা অ্যালকোহল কিংবা ধূমপান করেন তাদের অবশ্যই এইসব এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এইসব নেশা টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমিয়ে শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দেয়। যার ফলে পুরুষ বন্ধ্যাত্ব তৈরি হয়। তাই পুরুষ বন্ধ্যাত্ব থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই শারীরিক সুস্থতা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।