Mount Fuji: মাউন্ট ফুজির চূড়া থেকে উধাও বরফ, তবে কি ভয়ানক পরিণতির ইঙ্গিত?

Mount Fuji: পাহাড়ের চূড়া থেকে উধাও বরফ, ভয়ানক পরিণতির ইঙ্গিত দিচ্ছে মাউন্ট ফুজি। এবছর শীতের শুরুতে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখছে বিশ্ব। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ভয়ানক কোন কিছুর ইঙ্গিত পাচ্ছেন অনেকেই। এবার আর দেখা যাচ্ছে না মাউন্ট ফুজির চিরাচরিত রূপ। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ঘটনা গত ১৩০ বছরের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। এই বছর এমন উল্টোপূরণ হওয়ার কারণ কি? জানতে আগ্রহী সকলেই। তবে কি মাউন্ট ফুজির এই পরিবর্তন সত্যিই কোন বড় ক্ষতির ইঙ্গিত দিচ্ছে?

নিশ্চয়ই মনে প্রশ্ন জাগছে মাউন্ট ফুজিতে (Mount Fuji) ঠিক কি ধরনের পরিবর্তন দেখা দিয়েছে? ১৩০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার মাউন্ট ফুজিতে তুষারপাত হতে দেখা যাচ্ছে না। সাধারণত অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই শুরু হয়ে যায় প্রবল তুষারপাত। মাউন্ট ফুজি পুরোপুরি বরফাবৃত থাকে এই সময়টা। প্রায় সারা বছরই সাদা চাদরে ঢেকে থাকতে দেখা যায় মাউন্ট ফুজিকে। কিন্তু এই বছর যেন একেবারেই উলট পুরান।

নভেম্বর মাস পরে গেছে, শীত আসন্ন প্রায়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তুষার পাত হতে দেখা যায়নি মাউন্ট ফুজিতে (Mount Fuji)। একেবারেই শুষ্ক রয়েছে তার চূড়া। অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। অনেকেই বলছেন এবার বোধহয় তুষার চাদর সময় ভুলে গেছে তাই হয়তো মাউন্ট ফুজিকে ঢেকে দিতে দেরি করে ফেলছে।

আরো পড়ুন: আবারও ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, ৩০০ কিমি বেগে আছড়ে পড়তে পারে উপকূলে

জাপানের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মাউন্ট ফুজি (Mount Fuji)। এখনো পর্যন্ত বরফের চাদর মুড়ি দিতে দেখা যায়নি তাকে। এর কারণ হিসেবে সেখানকার আবহাওয়া দপ্তর নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, মাউন্ট ফুজির এই পরিণতি হবার কারণ গ্রীষ্মকালীন অতিরিক্ত তাপমাত্রার পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ প্রভাব। ২০১৪ সালের গ্রীষ্মকাল জাপানের জন্য সব থেকে উষ্ণতম বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এবছর প্রায় সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বেশ ভালো গরম ছিল সেখানে। আর তার প্রভাবেই তুষার ক্যাপ তৈরি হতে সময় বেশি লাগছে। বলা ভালো সময় পিছোচ্ছে। কারণ অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া ঠান্ডা বাতাসকে বাধা দেয়। এখানেও অনেকটা তেমনই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।

সাধারণত অক্টোবরের শুরুর দিক থেকে অতিরিক্ত তুষার পাতের কারণে বরফের চাদরে ঢেকে যায় মাউন্ট ফুজি (Mount Fuji)। কিন্তু মাঝে ১৯৫৫ এবং ২০১৬ সালে এই ঘটনা একটু দেরিতে ঘটেছিল। এই দুই বছর অক্টোবরের শেষের দিকে তুষারপাত হতে দেখা যায় সেখানে। কিন্তু এবছর সেই সময়সীমাও পেরিয়ে গেল। গোটা অক্টোবর মাস পেরিয়ে নভেম্বর মাসের সূচনা হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এক ফোটাও বরফ পড়তে দেখা যায়নি। অন্যান্য বাড়ের তুলনায় পর্যটকের সংখ্যাও এবছর অনেক কম। তবে এর সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ছে স্থানীয় এলাকাগুলির উপর। বাস্তুতন্ত্রের অনেক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। প্রভাব পড়ছে সাধারণ জন জীবনেও। সাধারণত বরফগলা জলই স্থানীয় এলাকায় মিষ্টি জলের চাহিদা মেটায়। কিন্তু এ বছর তুষারপাত না হলে স্থানীয় এলাকায় জলের সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *