Earn from Youtube: ইউটিউব থেকে আয় হবে লাখ লাখ টাকা, শুধু মাথায় রাখতে হবে এই বিষয়গুলি

Earn from Youtube: বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে সবাই জ্ঞাত। যেখানে সব বয়সের ব্যক্তিরাই অবসর সময় কাটায়। কেউ ভিডিও দেখে, কেউ কনটেন্ট বানিয়ে, কেউ গেম খেলে তো কেউ আবার নিজেদের প্রতিভা সবার মাধ্যমে শেয়ার করে। তবে একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হল ইউটিউব। যেখানে শুধু গান শোনা বা ভিডিও দেখা নয়, কনটেন্ট বানিয়ে ভিডিও পোস্ট করে রোজগার করা যায় প্রচুর প্রচুর টাকা। আপনিও কি চান ইউটিউব (Earn from Youtube) চ্যানেলের মাধ্যমে আয় উন্নতির পথ প্রশস্ত করতে? তাহলে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়ুন এই প্রতিবেদনটি। লাভ বই লোকসান হবে না।

ইদানিং কম-বেশি সকল ব্যক্তিদের অবসর সময় কাটানোর মাধ্যম হয়ে উঠেছে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইনস্টা, whatsapp সহ আরো অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া। তেমনি একটি মাধ্যম হলো ইউটিউব। যেখানে নিজের চ্যানেল বানিয়ে আকর্ষণীয় কন্টেন্ট বানিয়ে পোস্ট করলে সাবস্ক্রাইবের মাধ্যমে আয় করা যায় হাজার হাজার টাকা। ইতিমধ্যে বহু ইউটিউবাররা এই অনলাইন মাধমে আয় করছে প্রায় লাখ লাখ টাকা। আবার অনেকেই ইউটিউব (Earn from Youtube) চ্যানেল ওপেন করে কনটেন্ট বানিয়েও মানিটাইজেশন অন করতে পারছে না। তাই চলুন মানিটাইজেশন ফিচার পাওয়ার জন্য কোন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয় তা জেনে নেওয়া যাক।

প্রথমত ইউটিউবকে আর্থিকভাবে (Earn from Youtube) ব্যবহার করতে হলে তার জন্য কিছু উপায় মাথায় রাখতে হবে। সেগুলি হল – ইউটিউব চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে উচ্চমানের ভিডিও তৈরি করতে হবে। যা ইউটিউব দর্শকদের তুমুল ভাবে আকর্ষণ করবে। সমাজ মাধ্যমে অর্থাৎ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে সেই ভিডিও প্রচার করতে হবে। যাতে ভিউয়ার সংখ্যা বাড়ে। এছাড়াও ভিডিওর প্রচারের জন্য দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। অন্যান্য ইউটিউবারদের সাথে কোলাবোরেট করতে হবে। SEO-র জন্য নিজের ভিডিওগুলোকে অপটিমাইজ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন ভিডিওর ভিউজ সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বৃদ্ধি পাবে সাবস্ক্রাইব সংখ্যা। আর তাহলেই শুরু হয়ে যাবে মানিটাইজেশন।

আরো পড়ুন: পরিবর্তিত হলো প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার নিয়ম, বাড়লো অর্থের পরিমাণ

তবে Youtube চ্যানেল ওপেন করে ভিডিও পোস্ট হওয়া শুরু হলে কিন্তু মানিটাইজেশন ফিচার পাওয়া যায় না। বেশ কয়েকটি ফিচারের পর এই ফিচার পাওয়া যায়। যেমন প্রথম টার্গেট ১০০ সাবস্ক্রাইবার পূরণ হলে চ্যানেলে কাস্টম ইউআরএল ফিচার পাওয়া যায়। তারপরে কমিউনিটি ট্যাব ফিচার পেতে চ্যানেলে ৫০০ সাবস্ক্রাইবার টার্গেট পূরণ করতে হয়। তারপর পাওয়া যায় ভিডিও প্রিমিয়াম ফিচার। যে ফিচারের মাধ্যমে ভিডিও কনটেন্ট লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মতো দেখানো হয়। আর সাবস্ক্রাইব সংখ্যা ৫০০-র বেশি হলেই শুরু হয়ে যায় মানিটাইজেশন ফিচার। সাথে ওয়াচ পেজ অ্যাড এবং শর্টস ফিড অ্যাডের সুবিধা পাওয়া যায়। তবে শুধু ৫০০ সাবস্ক্রাইবার নয়, মানিটাইজেশনের জন্য আরো একটি টার্গেট পূরণ করতে হয়।

মানিটাইজেশন ফিচার চালু করার জন্য ৫০০ সাবস্ক্রাইবারের সাথে বিজ্ঞাপন দেখানোর টার্গেট পূরণ করতে হয়। এর জন্য ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং হাজার সাবস্ক্রাইবার করতে হয়। তারপর Google অ্যাড সেন্স পার্টনার প্রোগ্রাম চ্যানেলে বিজ্ঞাপন চালু করে। আর সেই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইউটিউব (Earn from Youtube) চ্যানেল থেকে আয়ের পথ প্রশস্ত হয়। যেখান থেকে কেউ হাজার তো কেউ লাখ লাখ টাকা উপার্জন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *