Civic Police: সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে বিস্ফোরক প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের, রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে উঠছে নানা অভিযোগ

Civic Police: সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এবার তীব্র প্রশ্ন তুলেছে, যা রাজ্য সরকারের জন্য এক নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নাম ওঠার পর থেকেই বিতর্কের ঝড় বইছে। শীর্ষ আদালত সরাসরি জানতে চেয়েছে, কার নির্দেশে এবং কী পদ্ধতিতে এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়? তাদের নিয়োগের মানদণ্ড কী? এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, কেন এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের থানা ও হাসপাতালে পোস্টিং করা হচ্ছে?

সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যে রাজ্যকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, যেন সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Police) আর কোনও হাসপাতাল বা থানায় দায়িত্ব পালন করতে না দেওয়া হয়। এই সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। ৪ নভেম্বরের পরবর্তী শুনানিতে সিবিআই-এর তরফে মামলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি স্টেটাস রিপোর্টও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এই মামলার সূচনা আরজি কর হাসপাতালের ভয়াবহ ঘটনা থেকে। সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে মর্মান্তিক ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই তার নিয়োগ এবং কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সিবিআই ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা দিয়েছে, যেখানে সঞ্জয় রায়কে মূল অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছে, এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না। সিবিআই বলেছে, তারা বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আরও তদন্ত চালিয়ে যাবে।

আরো পড়ুন: ঘুর্ণাবর্তের জেরে নিম্নচাপ! বৃষ্টির সম্ভাবনা কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয়, কোন কোন জেলায় সতর্কতা জারি?

হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর বারবার প্রশ্ন তুলেছে আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় উল্লেখ করেছেন, সিভিক ভলান্টিয়ারদের মতো অনভিজ্ঞ কর্মীরা কীভাবে হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর জায়গায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে পারে? চিকিৎসক সংগঠনের আইনজীবীরাও এই নিয়োগ নিয়ে কঠোর আপত্তি তুলেছেন। আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং আদালতে প্রশ্ন তুলেছেন, সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে আগেই গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ ছিল—তাহলে কীভাবে তাকে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে নিয়োগ করা হল? এই প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়ার দায়িত্ব এখন রাজ্য সরকারের ওপর।

রাজ্য প্রশাসনকে এবার স্পষ্ট করতে হবে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Police) নিয়োগের সঠিক পদ্ধতি কী এবং তাদের যোগ্যতা নির্ধারণের মানদণ্ড কীভাবে ঠিক করা হয়। আদালত আরও জানতে চেয়েছে, বর্তমানে রাজ্যে মোট কতজন সিভিক ভলান্টিয়ার কাজ করছেন এবং তাদের কার্যক্রমের ওপর কী ধরনের নজরদারি রাখা হয়। এসব প্রশ্নের জবাব দিতে রাজ্যকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *