Government Bus Service: পর্যাপ্ত চালক এবং পরিষেবা নেই। সরকারি বাস পরিষেবার বেহাল দশা। যেসব কর্মীরা রয়েছেন তাদের বেশিরভাগ সময়েই বেশিক্ষণ ডিউটি দিতে হয়। সরকারি বাসের সংখ্যাও ক্রমে কমে আসছে যে নিত্য যাত্রীদের কোথাও যাওয়ার আগে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। বেহাল পরিস্থিতি উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গ জুড়ে। প্রশাসনিক বৈঠকে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরকে নীরবে থাকা দপ্তর বলেও ভর্ৎসনা করেন। এদিন বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে সাধারণ মানুষকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখেই উষ্মা প্রকাশ করেন বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
তবে এটা সত্য যে পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণ দপ্তরে গণপরিবহনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। একই অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের সরকারি বাস পরিষেবাতেই (Government Bus Service)। পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকদের একাংশের দাবি সরকারি বাসের পরিষেবা আরও সুলভ করে তুলতে চালক এবং কন্ডাক্টরের অভাব রয়েছে। তবুও কিছু কিছু রুটে বাসের ট্রিপের সংখ্যা বাড়িয়ে সাধারণানুষদের পরিষেবা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবুও যাত্রী পরিষেবায় খামতি থেকেই যাচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
পরিবহণ দপ্তরের সুত্রে খবর উত্তর এবং দক্ষিণ বঙ্গ মিলিয়ে সর্বমোট ৬০০ সরকারি বাস চলাচল করে। এর জন্য এখনও ঘাটতি থেকে যাচ্ছে আরও ২০০ বাসের। এর জন্য পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ৮০টি ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে রাজ্যের সাধারণ মানুষের সুবিধায়। পরিবহণ দপ্তরের এক আধিকারিকের দাবি চালকদের শারীরিক সমস্যায় বাড়তি সময় গাড়ি চালানো অনেক সময় সম্ভব হয়না। তবুও কিছু জন বাড়তি সময় বাস চালানোয় রাজি হওয়ার জন্যই ট্রিপ সংখ্যা বাড়ানো গিয়েছে ৮০টি রুটে। এই বিষয়ে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী জানিয়েছেন সরকারি বাসের পরিষেবা আরও উন্নত করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সচেষ্ট রয়েছে। তিনি আরও বলেন সরকারি বাসের পরিষেবা (Government Bus Service) আরও উন্নত করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত কয়েকটি সমস্যার সমাধান করা হবে।
আরো পড়ুন: বাড়ছে সরকারি বাসের সংখ্যা, নির্দেশ দিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী
জানা যাচ্ছে সরকারি বাস পরিষেবা (Government Bus Service) মান বাড়াতে নতুন নিয়োগ শুরুর কথা চলছে দপ্তরের অন্দরমহলে। নতুন করে বাস চালক এবং কন্ডাক্টর নিয়োগ করার কথা ভাবা হচ্ছে। এই প্রস্তাবে সরকারেরও মত রয়েছে বলে জানান ওই দপ্তরের আধিকারিকরা। প্রায় ১৫ বছর আগে JNNURM প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েকটি বাস কেনে রাজ্যের পরিবহণ দপ্তর। সেই সব বাস এখনও রাস্তায় চলছে। যার মধ্যে অনেক বাসেরই জীবন সীমা সরকারি মতে আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে।
আবার কিছু কিছু বাসের জীবন সময় শেষের পথে। এছাড়া বেতন সংক্রান্ত সমস্যা থাকার জন্যও কর্মীদের একাংশ মন দিয়ে কাজ করেনা বলেও অভিযোগ উঠছে। জানা গিয়েছে সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত চালকের চেয়ে সরকারি বাস পরিষেবার (Government Bus Service) ক্ষেত্রে এজেন্সি দ্বারা নিয়োজিত চালকের সংখ্যাই এখন বেশি। সব নিয়ে কার্যত জরাজীর্ণ অবস্থা রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরে। আর সেই জন্যই এবার নতুন উদ্যোগে এর মানোন্নয়নের চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্যের পরিবহণ দপ্তর।