Gatidhara Prakalpa: আট হোক বা আশি, রাজ্যের মানুষদের জীবনযাত্রার মান বাড়িয়ে তুলতে একাধিক রাজ্য সরকারি প্রকল্প এনেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গতিধারা প্রকল্পটিও এরই মধ্যে অন্যতম। মূলত রাজ্যের শিক্ষিত বেকার সমাজকে নিজের পরিচয় স্থাপন করতে সাহায্য করার জন্যই এই প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়। ২০১৪ সালে এই প্রকল্প চালু হয় এর পর থেকে লক্ষ লক্ষ্য যুবক যুবতী নিজেদের পরিচয় তৈরি করেছে এই গতিধারা প্রকল্পের উপর নির্ভর করেই।
এই প্রকল্পের (Gatidhara Prakalpa) মাধ্যমে অটো, ট্যাক্সি, বাণিজ্যিক গাড়ি, টোটো ইত্যাদি যেকোনো গাড়ি কিনে ব্যবসার পথ খুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের যুবক-যুবতীদের স্বাবলম্বী করে তোলার পক্ষে কাজ করে চলেছে এই গতিধারা প্রকল্প। বিশেষত যেসব যুবক-যুবতী শিক্ষিত সমাজের অঙ্গ হয়েও বেকারত্বের সমস্যায় রয়েছেন তাদের জন্যই এই প্রকল্পের কথা ভাবা হয়েছে। এতে সকলের জন্য ব্যবসার পথের দিশা দেখিয়েছে সরকার।
সাধারণ শ্রেণীর মানুষের পক্ষে ইচ্ছে থাকলেও ব্যবসার মূলধন জোগাড় করা হয় ওঠে বড় চিন্তার কারণ। আর এই জন্যই গতিধারা প্রকল্পে (Gatidhara Prakalpa) ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে ১লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি হিসেবে অর্থ সাহায্য দিতে চলেছে সরকার। এই প্রকল্পে ২০-৪৫ বছর বয়সী যেকোনো পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ST, SC এবং OBC সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে বয়সের বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে। এছাড়া পরিবারের মাসিক আয় ২৫ হাজার টাকার কম হতে হবে। এছাড়াও আবেদনকারীকে অবশ্যই এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংকে নিজের নাম নথিভুক্ত করিয়ে রাখতে হবে।
আরো পড়ুন: এইসব মহিলাদের একাউন্টে আর দেওয়া হবেনা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা, জারি নির্দেশিকা
জরুরী নথি:
এই গতিধারা প্রকল্পে (Gatidhara Prakalpa) আবেদন করার জন্য কিছু নথি প্রয়োজন সেগুলি হলো:
আবেদন পত্র, আয়ের প্রমাণপত্র, আবেদনের কারণ, গাড়ির পারমিটের আবেদন পত্র, এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংকে নাম নথিভুক্ত থাকার প্রমাণ, বয়সের প্রমাণপত্র, বাসস্থানের প্রমাণপত্র, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাংকের পাশ বই, একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও যদি গাড়ি কিনতে চান তবে তার বিস্তারিত তথ্য।
আবেদন পদ্ধতি:
আবেদন প্রক্রিয়াটি অনলাইনে সম্পন্ন করা যাবে। এর জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে গতিধারা প্রকল্পের (Gatidhara Prakalpa) তিনটি ফর্ম ডাউনলোড করে তথ্য দিয়ে পূরন করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় নথি স্ক্যান করে ফর্মটি সাবমিট করে দিতে হবে। এভাবেই আবেদন সম্পন্ন হবে।