Govardhan Puja: আকারে ছোট হচ্ছে গোবর্ধন পর্বত, পাথরের টুকরো নিয়ে যাওয়া যায়না

Govardhan Puja: হিন্দু শাস্ত্র মতে কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের প্রতিপদ তিথিতে গোবর্ধন পুজো করা হয়। চলতি বছরে ২রা নভেম্ভর পালিত হলো গোবর্ধন পুজো। এই দিনে বাড়ির মহিলারা গোবর দিয়ে তৈরি পাহাড়ের পূজা করে থাকেন। প্রাচীন কাল থেকে এই পুজোর চল রয়েছে। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের ঘরে ঘরে এখনও চল রয়েছে গোবর্ধন পুজোর।

গোবর্ধন পাহাড় আসলে অবস্থান করছে উত্তরপ্রদেশের বজ্রমণ্ডলে। ফলে সব সময় সেখানে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় মহিলারা গরুর মল দিয়ে তৈরি পাহাড়কে গোবর্ধন পর্বত (Govardhan Puja) রূপে পূজা করে আসছেন। পুরাণে এই গোবর্ধন পর্বতকে স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণের অন্য রূপ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আর ভগবান কৃষ্ণের অন্যতম প্রিয় পশু গরু হওয়ায় গোবর দিতে পুজো করা হয়। আর এই জন্যই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক এই গোবর্ধন পর্বত পরিক্রমা করতে আসেন। এই পাহাড়ের সাথে জড়িয়ে আছে অতীত ও বর্তমানের অনেক ইতিহাস ও ঘটনা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এই পাহাড় ঘিরে একাধিক কাহিনী রয়েছে।

এর মধ্যে একটি কাহিনী বলে অতীতের কোনো এক সময় এই গোবর্ধন পর্বত (Govardhan Puja) আকারে বিশাল বড়ো ছিল। বলা হয় কালযুগ শুরুর পর থেকে ক্রমশ হ্রাস পেতে শুরু করেছে এর আকার। অর্থাৎ এখন যা আকার দেখা যাচ্ছে তা ক্রমাগত আরও হ্রাস পাচ্ছে। শোনা যায় এমন একদিন আসবে যেদিন গোবর্ধন পর্বত মাটিতে মিশে যাবে অর্থাৎ পৃথিবীর বুকে বিলীন হয়ে যাবে সেদিন কালযুগ তার শেষ অবস্থায় পৌঁছবে। সেই সময় পৃথিবী থেকে ধর্ম মুছে যাবে এবং অধর্মের উত্থান হবে।

আরো পড়ুন: ছঠি মাইয়া কে! কেন করা হয় ছট্ পুজো, জানেন কি আসল কারণ

এছাড়া আরো একটি প্রচলিত কাহিনী হলো এই পর্বতের পাথরের টুকরো কেউ কোনোদিন নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেনা যদি তাও কেউ নিয়ে যায় তবে সেটিই হবে তার দুর্দিনের সূচনা। তাঁর সুখ সমৃদ্ধির শেষ হয়ে দুর্দিন দেখা দেবে। জানা যায় এই পাথর শুধু মাত্র বজ্রমণ্ডলের সীমানা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যেতে পারে তবে ওই সীমানা টপকালে শুরু হবে অনর্থ।

এছাড়াও শোনা যায় গোবর্ধন পর্বত (Govardhan Puja) পরিক্রমা করলে ব্যক্তি জীবনের সমস্ত পাপ শেষ হয়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে পরিক্রমা করতে হয় সেগুলি হলো:

  • খালি পায়ে পরিক্রমা করতে হয়
  • এই সময় সৎ কথা চিন্তা করতে হবে
  • এই সময় কোনো রকম নেশা দ্রব্য পান করা যাবেনা।
  • মনে মনে সব সময় ভগবানকে ডাকতে হবে।
  • পরিক্রমার সময় অপ্রয়োজনীয় কথা বলা যাবেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *