RG Kar Statue: আরজি করে বসলো নির্যাতিতার মূর্তি, উঠছে সমালোচনার ঝড়

RG Kar Statue: আরজি করে বসলো নির্যাতিতার মূর্তি, উঠছে সমালোচনার ঝড়। এবারের পুজোটা যেন একটু অন্যরকম। আনন্দ উৎসবে মেতে রয়েছে গোটা রাজ্য। তারপরেও মনের মাঝে জমে রয়েছে অনেকখানি ক্ষোভ। কিছুদিন আগে কলকাতার বুকে ঘটে গেছে এক নির্মম হত্যাকান্ড। আরজি কর মেডিকেল কলেজে কর্মরত অবস্থায় নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে এক মহিলা ডাক্তারকে। সেই ঘটনার বিচার চেয়ে দাবি তুলেছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সে বিষয়ে তেমন আশাপ্রদ কোন খবর পাওয়া যায়নি। আর তাই উৎসবের মাঝেও মন খারাপের ছায়া ছড়িয়ে রয়েছে কলকাতা জুড়ে।

এরই মাঝে প্রকাশ্যে এলো আরো একটি খবর। আমরা কেউই চাই না আনন্দ উৎসবের মাঝে আমাদের প্রতিবাদের ভাষাকে হারিয়ে ফেলতে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে এই ভাষা জাগিয়ে রাখতে একটু অন্যরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো। আরজি করে বসানো হলো নির্যাতিতা তরুনীর শেষ কষ্টক্লিষ্ট মুখের একটি আবক্ষ মূর্তি (RG Kar Statue)। উদ্দেশ্য যাতে কেউ এই নির্মম ঘটনার কথা এক মুহূর্তের জন্য ভুলে যেতে না পারে। কিন্তু এই ঘটনা সকলের কাছে সমান ভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি। অনেকেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছেন।

আরজি করের ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি থেকে শুরু করে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। শুধু তারাই নন, অনেক সাধারণ মানুষও এই ঘটনা নিন্দা করেছে। মহালয়ার দিন এই মূর্তিটির উদ্বোধন করা হয়েছে। মুর্তির (RG Kar Statue) গায়ে লেখা রয়েছে এই নারকীয় ঘটনার সংক্ষিপ্তসার। অভয়ার স্মরণে করা এই মুর্তি আদৌ কতটা সম্মানের তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

বিজেপি দলের নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেছেন, “আমরা আমাদের প্রিয়জনের মৃত্যুর পর তার সব থেকে ভালো ছবি বা প্রতিকৃতি নিজেদের ঘরে রাখতে পছন্দ করি, কিন্তু তা বলে আমরা কখনোই তার শেষ যাত্রার সেই কষ্ট মাখা মুখের ছবি বাঁধাই করি না বা নিজেদের কাছে রাখি না। যারা এই মূর্তি (RG Kar Statue) বানিয়েছেন বা যারা এই মুর্তিটিকে পছন্দ করছেন তাদের মানসিক সুস্থতা কামনা করি। এর বেশি যা বলতে ইচ্ছা করছে তার সমাজ মাধ্যমে বলা সম্ভব নয়”। কথাটা খানিকটা সত্যি। অনেক সাধারন মানুষও তরুণজোতি বাবুর এই কথায় সম্মতি জানিয়েছেন।

আমরা সব সময় চাই প্রিয় মানুষটার সুখ স্মৃতিটুকু আমাদের সাথে থেকে যাক। তার সাথে কাটানো ভালো মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে থেকে যাক। তা বলে তার সব থেকে কষ্টের মুহূর্তের প্রতিকৃতি বানিয়ে তাকে কতটা সম্মান জানানো হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সকলের মনে। প্রশ্ন তুলেছে বিখ্যাত গায়ক সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি সমাজ মাধ্যমে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, আরজি করে বসানো এই মূর্তি (RG Kar Statue) নির্যাতিতাকে কতটা সম্মান দিতে পারছে? আমার তো মনে হয় আরো বেশি করে অপমান করা হচ্ছে তাকে। শুধু তাকেই নয়, অন্যান্য নির্যাতিতাদেরও একই সাথে অপমানিত হতে হচ্ছে এই মুর্তির কারণে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *