Sunita Williams: পৃথিবীতে এসেও ঘরে ফেরা হল না সুনীতাদের, কেন পাঠানো হলো পুনর্বাসন কেন্দ্রে?

Sunita Williams: বেশ কয়েকদিন আগেই খবর পাওয়া গিয়েছিল নাসার ক্রিউ-৯ মহাকাশে পৌঁছাতে সফল হয়েছে। যেখানে ৪ মহাকাশচারীকে নামিয়ে ভারতীয় মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও তাঁর সহযাত্রীকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে। সেইমতো মঙ্গলবার আটলান্টিক মহাসাগরে অবতরণ করেছে নাসার ক্রিউ-৯ মহাকাশযান। তবে সময়মতো পৃথিবীতে ফিরে এলেও ঘরে ফেরা হলো না সুনীতা ও তাঁর সহযাত্রীর। কেন,কি কারণে পুনর্বাসনে পাঠানো হলো তাঁদের?

প্রসঙ্গত, প্রায় ৮ দিনের মহাকাশ সফরে গিয়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) ও তাঁর সহযাত্রী উইলমোর। কিন্তু মহাকাশে মহাকাশযান সফলভাবে পৌঁছতে না পারায় প্রায় ৯ মাস মহাকাশে আটকে থাকেন সুনীতা ও তাঁর সহযাত্রী। তবে নয় মাস পর নাসার ক্রিউ-৯ মহাকাশে পৌঁছে পৃথিবীর মাটিতে ফিরিয়ে আনেন সুনীতা ও তাঁর সহযাত্রী উইলমোরকে। আর পৃথিবীতে অবতরণ করার সাথে সাথেই সুনীতার শীর্ণ চেহারা দেখে চমকে যান সকলে। উদ্বেগ দেখা যায় তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে। আর সেই কারণেই আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা পুনর্বাসন প্রকল্প গ্রহণ করেন।

বিজ্ঞান মতে, দীর্ঘদিন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরে অর্থাৎ মহাকাশে কাটালে শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। ধৈর্য শক্তি কমে যায়, হার ক্ষয় শুরু হয়, পেশির ক্ষমতা হ্রাস হয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, শরীরে নানান কার্যকারিতা স্বাভাবিক হয় না। পৃথিবীতে বসবাসকারী সাধারণ মানুষের মতো আচরণ করতে পারে না মহাকাশে থাকা ব্যক্তিরা। শারীরিক নানান সমস্যা দেখা দেয়। ফলেই মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরে এলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে অনেকটাই সময় লাগে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: ৯ মাস কাটিয়ে কবে দেশে ফিরবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস?

এদিন সুনীতা ও তাঁর সহযাত্রী উইলমোর ফিরে এলে তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এদিন মহাকাশযান পৃথিবীতে নামলে সেই যান থেকে বেরোনোর ক্ষমতা ছিল না সুনীতাদের। তাঁদেরকে ধরে তুলে মহাকাশযান থেকে বের করা হয়। তারপর স্ট্রেচারে করে জাহাজে তোলা হয়। আর এই শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে চিকিৎসার জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠান হয় সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) ও তার সহযাত্রীকে। যেখানে ৪৫ দিন চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকবেন সুনীতারা। সুনীতা ও উইলমোরের শারীরিক সমস্ত পর্যবেক্ষণ করার জন্য নাসা তরফে নিয়োগ করা হয়েছে ASCR বিশেষজ্ঞদের। সেই বিশেষজ্ঞরা এই দুই মহাকাশচারীকে নানান প্রশিক্ষণ, কসরতের মাধ্যমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন।

প্রায় ৪৫ দিন ধরে চলবে নানান প্রশিক্ষণ ও কসরত। যা অবতরণের দিন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে শেখানো হবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়ানো, নমনীয়তা, পেশির ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা। এই সমস্ত দিকগুলি ঠিকঠাক হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে চলবে শারীরিক অক্সিজেন যোগানের প্রক্রিয়া, শারীরিক কসরত এই কাজগুলি। পরবর্তীতে তৃতীয় পর্যায়ে চারপাশের সমস্ত কিছুর সাথে মানিয়ে নেওয়া, খাপ খাওয়ানো, সহজাত করে তোলার কাজ শেখানো হবে। স্বাভাবিক অবস্থায় যতদিন না আসতে পারবে ততদিন পর্যন্তই চলবে এই প্রশিক্ষণ ও কসরত। তারপরে আবারও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে তবেই বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে সুনীতা উইলিয়ামস ও তাঁর সহযাত্রী উইলমোরকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *