ওবিসি শংসাপত্র বাতিল সংক্রান্ত মামলা অনেকদিন ধরেই শীর্ষ আদালতে চলছে। এরই মধ্যে এবিষয়ে একটি নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে আদালতে। গত ৬ই জানুয়ারি আদালতে দায়ের হওয়া একটি মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ওবিসি শংসাপত্র সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন অমল কুমার দাস। ওই মামলায় তার পক্ষে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট।
ওই রায় অনুসারে, প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গত বছর ২২ শে মে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এবং বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেয়। এই রায়ে হাইকোর্ট জানিয়েছিল, এই ওবিসি সার্টিফিকেটগুলি ২০১০ সালের পর থেকে পদ্ধতি মেনে তৈরি করা হয়নি। তাই এগুলি বাতিল করা হবে। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।
পরে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনও। সেই মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে চলছে। ১৮ই ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি রয়েছে শীর্ষ আদালতে। ওবিসি সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মূল মামলাটি চলছে রাজ্য সরকার বনাম অমল কুমার দাসের মধ্যে। এরই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ৬ই জানুয়ারি নতুন মামলা করে অবনী কুমার ঘোষ। সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি বি আর গভৈ এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহের বেঞ্চে। অবনী কুমারের মামলায় শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, হাইকোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করা হবে না। ফলে তাঁর মামলাটি খারিজ হয়ে গেল শীর্ষ আদালতে।
আরও পড়ুন: রাস্তায় গাড়ি নিয়ে রেষারেষি করলেই লাইসেন্স বাতিল হবে, কড়া বার্তা সরকারের
এখন ওবিসি শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলা, রাজ্যের আবেদনের মূল মামলার ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যে। হাইকোর্টে মূল মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নতুন মামলাটি খারিজ হওয়ায় মূল মামলায় প্রভাব পড়তে পারে। তাঁরা বলেন,রাজ্য সরকারের আবেদন করা মূল মামলায় অবশ্যই এটির প্রভাব পড়বে। এই মামলার ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে দু’রকমের মত তৈরি হয়েছে আইনজীবীদের মধ্যে।
একদল মনে করছেন, যেহেতু এই সংক্রান্ত অন্যান্য আবেদনগুলি খারিজ করা হয়েছে, তাই মূল মামলাটিও হয়তো খারিজ হয়ে যেতে পারে। আবার অন্য এক দলের মতে, মূল মামলা খারিজ করার মতো কোনো নির্দেশই দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট এখনো অব্দি। সেদিন বিবাদী পক্ষের কোনো উকিলও উপস্থিত ছিল না। তাছাড়াও মূল মামলার শুনানি অনেকখানি এগিয়েও গেছে।