D El Ed Notification: রাজ্যের বর্তমান সরকারি নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষিত হওয়া জরুরি। আগেও এই নিয়ম ছিলো তবে তার কড়াকড়ি না থাকায় প্রশিক্ষণ ছাড়াও বিদ্যালয়ে পড়াতে পারতেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে ২০১৪ সাল থেকে এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যার মধ্যে রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ছিলেন। তাই এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ থাকা এখন বাধ্যতামূলক।
এবার এই ডিএলএড কোর্স (D El Ed Notification) নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গত কয়েক বছরে নতুন চাকরির হিসেবে বিপুল সংখ্যায় বেড়েছে এই কোর্সের পড়ুয়াদের সংখ্যা। এদিকে নিয়োগ প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেহাল দশা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা সহ চাকরি প্রার্থীদের। সুদিন ফেরার অপেক্ষায় থাকলেও এখনও তার দেখা মেলেনি। কবে যোগ্য নির্বাচন হবে সেই বিষয়ের কুয়াশার চাদর বেশ পুরু হয়েছে ইতোমধ্যে।
এই অবস্থাতে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি ডিএলএড (D El Ed Notification) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনুমেদন দেওয়ার ফি বাড়াতে চলেছে। আরও জানা যাচ্ছে এর সাথে সমান তালে বাড়তে চলেছে পুনর্বিকরণের ফি-ও। এখানেই শেষ নয় জানা যাচ্ছে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার প্রোগ্রামে সঙ্গ দিতে সমস্ত প্রক্রিয়াটি অনলাইন সম্পন্ন করার উপর জোর দিতে চলেছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর।
আরো পড়ুন: অর্থ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে খুশি, রাজ্য সরকারি কর্মীরা
এই বিষয়ে শিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন আসন সংখ্যার উপর নির্ভর করেই প্রতি দুই বছরের ব্যবধানে শিক্ষা পর্ষদকে অনুমোদন বাবদ ফি দিয়ে থাকে কলেজগুলো। এবারে সেই ফি বেশ অনেকটাই বাড়তে চলেছে বলে খবর। খরচের হিসেব দিয়ে ইতিমধ্যেই পর্ষদের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে একটি তালিকা। সেই তালিকা অনুযায়ী যেসব ডিএলএড (D El Ed Notification) কলেজে ৫০টি আসন রয়েছে তাদের ৫০ হাজার টাকা, ১০০টি আসনে এক লক্ষ টাকা, ১৫০টি আসনে দেড় লক্ষ্য টাকা দিতে হবে অনুমোদনের জন্য।
শিক্ষা পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন কোর্স বা ডিএলএড (D El Ed Notification) করার জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিয়ে তারপর অনুমোদন পেতে পর্ষদের কাছে ফি জমা দিতে হয়। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তবেই সরকারি ভাবে কলেজগুলোকে ডিএলএড কোর্স (D El Ed Notification) করানোর অনুমতি দেওয়া হয়। এই বিষয়ে পড়াশুনোর মান ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে আপস করা হবেনা বলে জানিয়েছে শিক্ষা পর্ষদ।