বর্তমানে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় এবং শীর্ষ প্রযুক্তি সংস্থা হলো টিসিএস, ইনফোসিস এবং উইপ্রো। তাদেরকেই এক বিশেষ বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তৈরি করতে বলা হলো একটি স্বদেশি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। এই নতুন মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হয়তো খুলে দিতে পারে এক নতুন দিগন্তের দরজা। সম্প্রতি ডেটাকোয়েস্ট ইন্ডিয়া আয়োজিত ৩২ তম আইসিটি বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস ও ডিজিটাল লিডারশিপ কনক্লেভে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখানেই প্রযুক্তিগত সংস্থাগুলোর উদ্দেশ্যে এই বার্তা দিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই বিশেষ অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন যে, তিনি ৩২ তম আইসিটি বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস ও ডিজিটাল লিডারশিপ কনক্লেভের মঞ্চ থেকে ইনফোসিস, টিসিএস, উইপ্রোর মতো বড় সংস্থাগুলোকে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছেন। নিজেদের দেশের জন্য অবশ্যই একটি স্বদেশি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা প্রয়োজন। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাগুলোর অবদান সত্যি অনস্বীকার্য কিন্তু এখন অবশ্যই দেশকে পণ্য-কেন্দ্রিক হতে হবে না হলে উন্নতি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপে অবশ্যই সহযোগিতা করবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই বিশেষ অনুষ্ঠানে জানান যে, প্রযুক্তির দিক থেকে ভারতকে বিশ্বের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পৌঁছে দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্যই এই বিষয়ে পরিকল্পনা করছে। তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকলকে নতুনভাবে স্বপ্ন দেখার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। বর্তমানের সমস্যার যেমন সমাধান করতে হবে তেমনি ভবিষ্যৎকে কিভাবে উন্নত করা যায় তার পরিকল্পনাও করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো দেশের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো যেন বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ স্থান অধিকার করতে পারে। একদিন জি৭ বা জি-২০ গোষ্ঠীর সঙ্গে টি৫-এর অংশ হিসেবে ধরা হবে। একটি নতুন মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম বদলে দিতে পারে দেশের ভবিষ্যৎ।
আরও পড়ুন: টারবাইন ছাড়াই তৈরি হচ্ছে বিদ্যুৎ, চমকে দিচ্ছে আইআইটি খড়গপুর
মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ক্ষেত্রে ভারতের নেতৃত্বের প্রচেষ্টার কথা অবশ্যই তুলে ধরতে হবে। পাঁচটি ইউনিট তৈরি হচ্ছে এবং এ বছরই ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ চিপ আসবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কম্পিউট পোর্টাল চালুর কথা বলে তিনি জানান, ‘গতকাল ১৪,০০০ জিপিইউ-এর কম্পিউট সুবিধা চালু হয়েছে। এর ফলে দুর্দান্ত সুবিধা হবে গবেষক, ছাত্র ও স্টার্ট-আপদের জন্য। এই উন্মুক্ত এআই পরিষেবার দ্বারা তারা অনেক গবেষণা করতে পারবে।
এই অনুষ্ঠানে তিনি আরো জানিয়েছেন যে, তৃতীয় মেয়াদে স্বাধীন এআই মডেল, সমস্যা কেন্দ্রিক ছোট মডেল, জিপিইউ উৎপাদন, স্টার্টআপ ও প্রতিভা উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে। আগামী ১২ মাস অর্থাৎ এক বছরের মধ্যেই ভারতের নিজস্ব মৌলিক এআই মডেল তৈরি হবে এবং এই বিষয় নিয়ে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী।