Indian Railways Free Service: ভারতীয় পরিবহণ ব্যবস্থার মেরুদণ্ড হলো ভারতীয় রেল। দেশের কোনায় কোনায় পরিষেবা পৌঁছে দিতে ভারতীয় রেল সর্বদা কাজে নিয়োজিত রয়েছে। সারা ভারতের পরিবহণ ব্যবস্থার মেরুদণ্ড হিসেবে ধরা হয় এই ভারতীয় রেলকে। প্রতিদিন কয়েক কোটি মানুষের যাতায়াত হয় এই রেলের মাধ্যমেই। অফিস-কাছারি, বিদ্যালয়-কলেজ সব জায়গায় পৌঁছতে ভারতীয়দের কাছে রেল পরিষেবার গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতীয় রেলের পরিষেবা এতটাই বিস্তৃত যে কাছে হোক বা দূরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভারতীয় রেলের উপরেই ভরসা করেন সকলে।
কাছাকাছি ভ্রমণে যদিওবা একটু কম ব্যবহার হলেও দূরের ভ্রমণের জন্য ট্রেনের মতো সস্তা আর সুবিধা জনক ভ্রমণ আর নেই বললেই চলে। ভারতীয় রেলের নিয়ম অনুযায়ী টিকিট কাটার ক্ষেত্রে শুধু মাত্র ভাড়া ছাড়া অতিরিক্ত কোনো টাকা চার্জ নেওয়া হয়না। এবার আরও বড়ো পদক্ষেপ নিল রেল। সম্প্রতি রেলের তরফে একটি তালিকা প্রকাশ করে বিনামূল্যে রেল পরিষেবার (Indian Railways Free Service) যোগ্য যাত্রীদের ধরনের কথা জানা গিয়েছে।
তবে জানেন কি? ভারতীয় রেলে কোন কোন যাত্রীদের বিনামূল্যে যাত্রা (Indian Railways Free Service) করার অধিকার রয়েছে? অবিশ্বাস্য শুনতে লাগলেও এই বিষয়টি অনেকেই জানেন না। আর তাদের জন্যই আজকের প্রতিবেদনে সমস্ত দিক বর্ণনা করা হলো। ২০২০ সালের ৬ই মার্চ প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যাচ্ছে যে ভারতীয় রেলে ভ্রমণের জন্য পুরোপুরি বিনামূল্যে ভ্রমণের সুযোগ পায় পাঁচ বছরের কম বয়সী বাচ্চারা।
আরো পড়ুন: এক ধাক্কায় ২০ টাকা কমতে চলেছে পেট্রোলের দাম, কবে থেকে জারি নতুন দাম
এক্ষেত্রে ভারতের রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে যদি পাঁচ বছরের নিচে কোনো বাচ্চার ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি আলাদা বার্থের প্রয়োজন হয় তবে সেক্ষেত্রে বিনামূল্যে যাত্রা (Indian Railways Free Service) করতে পারবেনা ওই শিশুটি। এর জন্য তাকে প্রাপ্তবয়স্কদের সমান টাকা দিতে হবে। এদিন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান ৪৬ শতাংশ ছাড় দিয়ে রেলের টিকিট বিক্রি করা হয়। সেই হিসেবে সব মিলিয়ে বছরে ৫৬,৯৯৩ কোটি টাকার ভর্তুকি পেয়ে থাকেন যাত্রীরা।
তবে ভারতীয় রেলে এমনও ট্রেন রয়েছে যেখানে ট্রেনে চড়ার জন্য আলাদা করে কোনো টিকিটের প্রয়োজন হয়না। যাত্রা করা যায় বিনামূল্যে (Indian Railways Free Service)। ট্রেনটির নাম ভাখরা-নাঙ্গাল ট্রেন। এই রেল গত ৭৫ বছর ধরে মানুষকে পরিষেবা দিয়ে আসছে। পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশের মধ্যবর্তী ১৩ কিলোমিটার এই ট্রেন যাত্রায় মোট পাঁচটি স্টেশনে থামে এই ট্রেনটি।