Electric Scooter: বর্তমান আধুনিক যুগে প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে মানুষের চাহিদাও অন্যরূপ নিচ্ছে। দূষণ সম্পর্কে সম্প্রতি সকলেই অবগত, তাই জ্বালানিচালিত গাড়ির পরিবর্তে ইলেকট্রিক গাড়ির প্রতি মানুষের ঝোঁক দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে যেমন দূষণও হয় না তেমন দামের দিক থেকেও অনেক সাশ্রয়ী। আজকের এই প্রতিবেদনে জানতে পারবেন তেমনি একটি সাশ্রয়ী মূল্যের ইলেকট্রিক দুই চাকা সম্পর্কে।
৬০ হাজার টাকায় পেয়ে যান লাখ টাকার ফিচার্স
শীঘ্রই কি দুই চাকা কেনার পরিকল্পনা রয়েছে আপনার? তাও যদি ইলেকট্রিক গাড়ি কিনতে চান তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য একেবারে উপযুক্ত। ৬০ হাজার টাকার কমে এই স্কুটারটি (Electric Scooter) ওলার থেকে কোন অংশে কম নয়। এত অল্প দামে এই স্কুটারে আপনি পেয়ে যাবেন লাখ টাকার ফিচার্স। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এতে নেই লাইসেন্স এবং আরটিও-র ঝামেলা।
শীঘ্রই কি কিনবেন ইলেকট্রিক স্কুটার (Electric Scooter)?
মধ্যবিত্ত মানুষের চারচাকা কেনার সামর্থ্য না হলেও দুই চাকা কেনার ইচ্ছে অনেকেরই থাকে। সেই স্বপ্নপূরণ করতে সাহায্য করবে আজকের এই প্রতিবেদনটি। নিজের জন্য কিংবা নিজের পরিবারের জন্য এমন একটি ইলেকট্রিক স্কুটার (Electric Scooter) কেনার কথা চিন্তাভাবনা করুন যাতে থাকবে না লাইসেন্স, আরটিও-র ঝামেলা। কোনরকম বাড়তি ঝামেলা যদি নিতে না চান তাহলে এই স্কুটারটি আপনার জন্য একেবারে পারফেক্ট। সস্তার এই স্কুটারে পাবেন অত্যাধুনিক ফিচার্স। আশা করি স্কুটার প্রেমীদের এই ইলেকট্রিক স্কুটার অবশ্যই পছন্দ হবে।
বাঁচবে তেলের খরচ
বর্তমানে পেট্রোলের দাম যেভাবে উর্ধ্বমুখী তাতে জ্বালানিচালিত দুই চাকার পরিবর্তে মানুষ বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছে ইলেকট্রিক স্কুটারের প্রতি। পেট্রোলের খরচ বাঁচাতে সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসা ইলেকট্রিক স্কুটার। ভারতে দুর্দান্ত রেঞ্জ এবং বৈশিষ্ট্যসহ এমন একাধিক ইলেকট্রিক স্কুটার রয়েছে যাতে গ্রাহককে কোনরকম লাইসেন্স এবং আরটিও-র ঝামেলা পোহাতে হবে না।
স্কুটার সম্পর্কে বিস্তারিত
এই প্রতিবেদনে যে স্কুটারটি (Electric Scooter) সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে সেটি হল গ্রিভস ইলেকট্রিক মোবিলিটি ইন্ডিয়ার অ্যাম্পিয়ার রিও ৮০। দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য এত অল্প দামে এর থেকে ভালো বিকল্প আর কিছু হতে পারে না। স্কুটারটির এক্স-শোরুম দাম ৫৯,৯০০ টাকা। ভারতীয় ইলেকট্রিক স্কুটারের বাজারে এরকমই আরো কিছু স্কুটার রয়েছে যেমন, Komaki X One, Ola S1 Z, Zelio Little Gracy, Bounce Infinity E.1 এবং Hero Electric Flash। এই প্রতিবেদনে আপনারা জানতে পারবেন Ampere Reo 80 এর কিছু সেরা ফিচার্স সম্পর্কে।
আরও পড়ুন: বাজারে আসতে চলেছে টিভিএস জুপিটার সিএনজি, রয়েছে নানা আকর্ষণীয় ফিচার্স
এই স্কুটারে রয়েছে রঙিন এলসিডি ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, চাবিহীন স্টার্ট, সামনের ডিস্ক ব্রেক এবং অ্যালয় হুইলের মতো আধুনিক স্মার্ট ফিচার্স। ইলেকট্রিক স্কুটার এর বাজারে এটি একটি দৃষ্টান্ত কায়েম করতে চলেছে। স্কুটারটি কালো, লাল, নীল এবং সাদার মতো ডুয়াল-টোন রঙের বিকল্পে বাজারে উপলব্ধ। ব্যবহারকারীদের কাছে এটি যথেষ্ট আকর্ষণীয় এবং সাশ্রয়ী। কম দামে এরকম দুর্দান্ত স্কুটার সত্যিই খুব একটা দেখা যায় না ভারতীয় বাজারে।
একবার চার্জেই যাবে অনেকদূর
এই ইলেকট্রিক স্কুটারের সব থেকে দুর্দান্ত ফিচার্স হল, স্কুটারটি সিঙ্গেল চার্জে ৮০ কিলোমিটারের অনবদ্য রেঞ্জ প্রদান করে। এই স্কুটারটি ফুল চার্জ হতে সময় নেয় ৭ থেকে ৮ ঘন্টা। অ্যাম্পিয়ার রিও ৮০ এর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৫ কিমি। এই ইলেকট্রিক স্কুটার টি দৈনন্দিন কাজের জন্য একেবারে উপযুক্ত কারণ এতে কোনরকম বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয় না চালককে। ড্রাইভিং লাইসেন্স বা আরটিও রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই রাস্তায় চালানো যাবে এই স্কুটার। নিয়মিত ব্যবহারের জন্য এই ইলেকট্রিক স্কুটার (Electric Scooter) গ্রাহকদের সত্যিই পছন্দ হবে এবং এটি একটি ভালো উদাহরণ তৈরি করবে।