Water Diet Rules: জল সেবনেরও রয়েছে নির্দিষ্ট পরিমাণ, শরীর সুস্থ রাখতে নিয়ম মেনে জল পান করুন

Water Diet Rules: জল সেবনেরও রয়েছে নির্দিষ্ট পরিমাণ, শরীর সুস্থ রাখতে নিয়ম মেনে জল পান করুন। কথায় বলে জলই জীবন। বা জলের আরেক নাম জীবন। জলই পারে শরীরকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। জল শরীরকে হাইড্রেট করে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে। কিন্তু জল পান করারও কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম (Water Diet Rules) রয়েছে। অনেকেই হয়তো তা জানেন না। আজকের প্রতিবেদনে জল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে দেহে কোন রোগ বাসা বাঁধতে পারেনা। জল কম খেলে, অনেক রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, অস্বস্তি, ক্লান্তি ইত্যাদি। দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান না করলে তা বড় কোন রোগের কারণও হয়ে উঠতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে শুষ্ক কাশি, পা ফোলা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। অনেক সময় জলের অভাব থেকে দেখে জলশূন্যতা দেখা দেয় যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যর মতন রোগ হতে পারে।

তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে সব সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। তবে কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। শরীর সুস্থ রাখতে গিয়ে অতিরিক্ত জল পান করাও কিন্তু ঠিক নয়। একেবারে জল না খাওয়া যেমন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। তেমনি অতিরিক্ত জল পান করাও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত জল পানের কারণে শরীরে হাইড্রেশনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বারবার প্রস্রাব পাওয়া, বমি বমি ভাব, হাত পায়ের রং পরিবর্তন ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। অতিরিক্ত জলপানের কারণে ক্লান্তির পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, পেশিতে টান লাগা এমনকি শরীরে খিচুনির সমস্যাও হতে পারে।

আরো পড়ুন: ৪ সপ্তাহেই হু হু করে কমবে ওজন, রইল গোপন টিপস

তাই জল পান করতে হবে নিয়ম (Water Diet Rules) মেনে। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের মতে জল পান করার নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় আপনার শারীরিক এবং পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। আপনার বয়স, লিঙ্গ, ওজন, শারীরিক কার্যকলাপ এবং আপনি যে পরিবেশে বাস করেন সেখানকার আবহাওয়ার উপর নির্ভর করেই নির্ধারণ করা হয় আপনার প্রতিদিন কতটা পরিমাণ জল খাওয়া প্রয়োজন। তবে চিকিৎসা শাস্ত্রের মতে সার্বিকভাবে প্রতি ঘন্টায় ২ থেকে ৩ কাপ জল খাওয়া স্বাস্থ্যকর।

তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী এই পরিমাপ (Water Diet Rules) পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। যেমন আপনি যদি এমন কোন জায়গায় থেকে থাকেন যেখানে তাপমাত্রার পরিমাণ অনেক বেশি, তাহলে জল পান করার পরিমাণও বাড়াতে হবে। বা আপনি অনেক শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করছেন তাহলেও জল পান করার পরিমান কিছুটা বাড়িয়ে দিতে পারেন। আপনি জল কম পান করছেন না বেশি তা জানার খুব সহজে একটি উপায় রয়েছে। যদি আপনার গাঢ়ো হলুদ রঙের প্রস্রাব হয় তাহলে বুঝবেন এটি ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ। আর যদি ঘনঘন প্রস্রাব হয় তাহলে বুঝবেন এটি অতিরিক্ত হাইড্রেশনের লক্ষণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *