অশোকে-পলাশে রঙিন হয়ে উঠেছে বাঁকুড়া, ঢল নামছে পর্যটকদের, থাকছেন কোথায়?

মা সরস্বতীর আগমন মানেই বসন্তের আভাস। আর এই বসন্ত এমন একটি ঋতু যা কম-বেশি সকলেরই প্রিয়। বসন্ত মানেই গাছে নতুন পাতা গজানো, সোনালী রোদ, হালকা মৃদু-মন্দ বাতাস। সাথে অশোক-পলাশ-শিমুল ফুলে চারিদিক রঙিন হয়ে যাওয়া। যা খারাপ মনকেও রঙিন করে তোলে। শুধু তাই না, এই বসন্তে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে দুর্দান্তভাবে সেজে ওঠে বাঁকুড়া জেলা। যা বসন্তের আভাস দেয়। চারিদিকে চোখ মেললেই দেখা যায় বসন্ত ফুলের উজ্জ্বলতা। রাস্তার দু’ধারে পলাশ ফুলের রঙিনতায় আরো সুন্দর হয়ে ওঠে বাঁকুড়া জেলার পাহাড়গুলি। চলতি বছরে এই অপরূপ সৌন্দর্যের সাক্ষী হতেই বাঁকুড়া জেলায় ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। থাকার ব্যবস্থা কোথায় রয়েছে? সেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়েই বা কি বলছেন পর্যটকরা?

ফাল্গুন-চৈত্র মাস নিয়েই বসন্তকাল। আর এই বসন্তকালেই অনুষ্ঠিত হয় রঙের উৎসব অর্থাৎ দোল উৎস।ব চলতি বছরে ১৪ই মার্চ শুক্রবার পালিত হবে দোল পূর্ণিমা। যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর এই রঙের উৎসবেকে আরো রঙিন করে তুলতে লাল মাটির জেলা বাঁকুড়া সেজে উঠেছে অশোক-পলাশ-শিমুলে। বাঁকুড়ার শুশুনিয়া, সিতান, ঝিলিমিল, মুকুটমণিপুর পাহাড়ের চারিদিকেই পরিলক্ষিত হচ্ছে পলাশের সৌন্দর্য। উপভোগ করতে ছুটে যাচ্ছেন পর্যটকরা। কেউ কেউ সেই পলাশ ফুল মাথায় গুঁজে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছেন তো কেউ কেউ পলাশ ফুলের মাঝে নৃত্য করে সুন্দর মুহূর্ত রেকর্ড করছেন।

ইতিমধ্যে অনেকেই ছুটে গেছেন বাঁকুড়ার প্রাকৃতিক সাজসজ্জা দেখতে। কারো কথায় ,বাঙালির এক অন্যতম আবেগ এই বসন্ত। এই সময়টা এক অন্যভাবে কাটে বাঙ্গালীদের। বিশেষ করে বাঁকুড়াবাসীদের। আবার অন্য একজনের উক্তি, ভরা ফাল্গুনে বাঁকুড়ায় ছুটে যাওয়া শুধুমাত্র পলাশ ফুলের টানে। গেলে মনে হবে যেন পলাশ ফুল স্বাগত জানাচ্ছে পর্যটকদের। এই সময়টা বেশ দুর্দান্তভাবে কাটে লাল মাটির জেলায়।

আরও পড়ুন: কুতুবমিনার ছাড়িয়ে যাবে হাওড়া টাওয়ার, কবে হবে উদ্বোধন?

শুধু তাই না, ভরা বসন্তের মরশুমে অনেকেই ঢুঁ মারছেন অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রামে। শাল-মহুয়ার প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য চাক্ষুষ দেখতে অনেকেই অগ্রিম বুকিং করে পৌঁছে যাচ্ছেন ঝাড়গ্রাম। যেখানে রয়েছে থাকা-খাওয়ার সু বন্দোবস্ত। এই সময়ে এতটাই ভিড় জমছে যে হোটেল পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠছে। অগ্রিম বুকিং করতে গিয়েই শোনা যাচ্ছে হোটেল বুক। তাই এবারে চাইলে দোল উৎসব কাটাতে পারেন পলাশ অরণ্যে।

এ প্রসঙ্গে জানি রাখি চলতি বছরে দোল পূর্ণিমা পড়েছে ১৪ই মার্চ শুক্রবার। সেই কারণে পরপর ৩ দিনের ছুটি পাওয়া যাচ্ছে। আর এই কারণে অনেকেই শান্তিনিকেতনের বদলে লাল মাটির জেলা বাঁকুড়া বা ঝাড়গ্রামে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। বুকিং হয়ে গিয়েছে প্রায় সব হোটেল, জেলার হোমস্টে। বলা যায় ১৪ থেকে ১৬ই মার্চ বেশ চাপ রয়েছে অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রামে। তবে চাইলে দোল উৎসবের পরেও ভরা ফাল্গুনের যেকোনো সময়ে পলাশ অরণ্যে ঘুরে আসতে পারেন। তা না হলে মিস হবে চোখ ধাঁধানো দুর্দান্ত দৃশ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *