Black Fever: উত্তরপ্রদেশে আবারো পাওয়া গেল কালা জ্বরের হদিশ, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে জারি সতর্কতা

Black Fever: উত্তরপ্রদেশে আবারো পাওয়া গেল কালা জ্বরের হদিশ, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে জারি করা হলো সতর্কতা। কালা জ্বর! একসময় এই রোগটির প্রকোপ দেখা যেত ব্যাপকহারে। অত্যন্ত ভয়ানক ছোঁয়াচে মারণ রোগ এই কালা জ্বর। ধীরে ধীরে এই রোগের উপশম আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে কালা জ্বরের প্রবণতা অনেকটাই কমে গেছে। কিন্তু একেবারে নির্মূল হয়ে যায়নি। উত্তরপ্রদেশে একটি ১৭ বছরের শিশুর শরীরে পাওয়া গেছে কালা জ্বরের ইঙ্গিত।

চিকিৎসকদের মতে কালা জ্বর (Black Fever) অত্যন্ত বিপদজনক একটি রোগ। এই রোগে আক্রান্তের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সব থেকে সমস্যার বিষয় হলো এই রোগ ভীষণ ছোঁয়াচে। আক্রান্তের আশপাশে থাকা সুস্থ মানুষকেও বিপদের মধ্যে ফেলতে পারে এই রোগ। বর্তমানে এই রোগের প্রকোপ তেমনভাবে লক্ষ্য করা যায় না। তবে এই রোগ বর্তমানে বিরল হলেও একেবারে নির্মূল নয়। প্রায় ২০ বছর পর উত্তরপ্রদেশের লখনৌতে একটি শিশুকে আক্রান্ত হতে দেখা গেল মরণ রোগ কালা জ্বরে।

যেহেতু ছোঁয়াচে রোগ তাই জন্য রোগীর আশপাশের এলাকাকে সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন। সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আক্রান্ত রোগীর বাড়ির আধ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। স্প্রে করা হয়েছে কীটনাশক। কিন্তু অবাক করা বিষয়টি হল আক্রান্ত রোগী বাইরে থেকে এই রোগে আক্রান্ত হননি। তিনি বাড়িতেই ছিলেন এবং বাড়ি থেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তথ্যসূত্রে জানা গেছে আক্রান্ত রোগী গত কয়েক মাস ধরে বাড়ির বাইরে কোথাও যাননি। তবে তিনি প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে এই রোগে আক্রান্ত। এক মাস ধরে তার মাঝামাঝেই জ্বর হতো এবং অত্যন্ত ক্লান্তি দেখা দিত। এরপর লখনৌ মেডিকেল কলেজে তার পরীক্ষা করানো হয়। সেখানেই ধরা পড়ে কালা জ্বরের (Black Fever) উপসর্গ।

আরো পড়ুন: দেবমূর্তি থেকে পড়ছে চরণামৃত, পান করার পর যা হলো

বর্তমানে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা চালানো হচ্ছে রোগীর। রোগীর অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তাকে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ করে তুলতে পারবে বলে আশা রাখছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মাঝে ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেসনের প্রতিনিধি দলও এসেছিল রোগীর বাড়িতে। রোগীকে ভালো করে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং আশপাশের এলাকাগুলিতে সংক্রমণ রোধে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে রোগীর বাড়ি এবং আশপাশের এলাকায় নিয়ম করে কীটনাশক ছড়ানো হচ্ছে কালা জ্বরের (Black Fever) সংক্রমণ রোধ করার উদ্দেশ্যে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৩ সালে উত্তরপ্রদেশে কালাজ্বরের হদিস মিলেছিল। তারপর আবার প্রায় ২০ বছর পর ২০১৪ সালে এসে মিলল কালা জ্বরের হদিস। চিকিৎসকদের মতে বিক্ষিপ্তভাবে এই ঘটনা ঘটা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়।

চিকিৎসকদের তরফ থেকে কালা জ্বরের (Black Fever) উপসর্গ হিসেবে বেশ কিছু বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমন বিক্ষিপ্ত জ্বর, অতিরিক্ত ক্লান্তি, ওজন কমে যাওয়া, ত্বকে হলদে ভাব হওয়া, লিভারের সমস্যা, রক্তাল্পতা, কাশি, হাত পা ব্যথা ইত্যাদি কালা জ্বরের অন্যতম উপসর্গ। চিকিৎসকদের মতে আক্রান্ত রোগী যেহেতু বাইরে কোথাও যাননি এবং বাইরে থেকে কোন ব্যক্তি এলাকায় আসেনি তাই সংক্রমণের ভয় খুব একটা নেইষ এই ঘটনাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছেন চিকিৎসকরা। যেহেতু সাধারণ স্যান্ডলাই এর মাধ্যমেই এই অসুখ ছড়ায়, তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সকলকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *