Trade License: সাফাইয়ের খরচ দিলেই পাওয়া যাবে ট্রেড লাইসেন্স, নতুন উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার

Trade License: ভারতীয় নাগরিকদের ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে তার ছাড়পত্র বা ট্রেড লাইসেন্স থাকা বাঞ্ছনীয়। মূলত ব্যবসার ধরন, প্রকৃতি এবং আকারের উপর নির্ভর করে এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়। মূলত স্থানীয় পুরসভা বিচার-বিবেচনা করে এবং সব দিক খতিয়ে দেখে তবেই এই লাইসেন্স দিয়ে থাকেন। তবে এতদিন এই ব্যবসায়িক লাইসেন্স পেতে আবেদনকারীকে বেশ কাঠ-খড় পোড়াতে হতো।

তবে এবার এই ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া হয়ে গেছে আরও সহজ। কলকাতা পুরসভার অভিনব উদ্যোগ। সাফাইয়ের খরচ দিলেই পাওয়া যাবে ট্রেড লাইসেন্স (Trade License)। যদিও লাইসেন্স পাওয়ার জন্য রয়েছে আলাদা মানদণ্ড। আবেদনকারীদের ছোটাছুটি এতে যে খানিকটা কমে যেতে চলেছে তার অস্বীকার করার জায়গা নেই। এবার আরও ঝঞ্ঝা মুক্ত হলো ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী ট্রেড লাইসেন্স (Trade License) পেতে হলে জঞ্জাল সাফাইয়ের খরচ দিতে হবে। অন্যথায় মিলবে না ট্রেড লাইসেন্স। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার তরফে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই তথ্য শেয়ার করা হয়েছে কলকাতার প্রতিটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে। জানা যাচ্ছে নতুন বছরের পুর এবং নগরোন্নয়ন দপ্তর একটু গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে এই বিষয়টি সাধারণের জন্য আরও স্পষ্ট করে দেবে। তথ্য অনুযায়ী ৫০০ বর্গফুট বা আরও বেশি জায়গা জুড়ে তৈরি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য জঞ্জাল সাফাই বিভাগ একটি সার্ভিস চার্জ লাগু করেছে।

আরও পড়ুন: এবার মাত্র ১১ মিনিটে পৌছে যান হাওড়া থেকে শিয়ালদহ

ওই নিয়ম অনুযায়ী ট্রেড লাইসেন্স (Trade License) পাওয়ার জন্য সবার আগে দিতে হবে সার্ভিস চার্জ। এভাবেই তৈরি করা হয়েছে সার্ভিস চার্জ। গত সপ্তাহেই মেয়র পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিতে একটি গ্যাজেট নোটিফিকেশন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও এর আগে নিয়ম মেনে পুর অধিবেশনের অনুমোদন দেওয়া হবে। এই বিষয়ে একজন শীর্ষকর্তা জানান জঞ্জাল সাফাইয়ের থেকে ৬৪ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪২ কোটি টাকা এসেছে সার্ভিস চার্জ বাবদ। তাঁর মতে শহরের একাধিক সংস্থা এখনও জঞ্জাল সাফাই বিভাগের সার্ভিস চার্জের আওতায় বাইরে রয়েছেন। এই সব সংস্থাগুলিকে এই জঞ্জাল সাফের আওতায় আনতে ট্রেড লাইসেন্স ফি-র আওতায় আনা হবে।।

বেশিরভাগ বাণিজ্যিক সংস্থাই একসাথে ৫ বা ১০ বছরের জন্য ট্রেড লাইসেন্স (Trade License) ফি দিতে চায়। তাঁর কথায় জঞ্জাল সাফাইয়ের ফি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই পুরসভা জানিয়েছে যে যত বছরের জন্য ট্রেড লাইসেন্স করা হবে তত বছরের জঞ্জাল সাফাইয়ের ফি আগাম নিয়ে নেওয়া হবে। আর এই বিষয়ে বিস্তারিত পুরসভার তরফে খুব শীঘ্রই জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে বসতবাড়ির ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *