Umran Malik: আইপিএল ২০২৫ শুরু হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি! তার আগেই বড় ধাক্কা খেল কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। চোটের কারণে এবারের আসর থেকে ছিটকে গেলেন তাদের অন্যতম গতিতারকা পেসার উমরান মালিক! ঘণ্টায় ১৫৬ কিলোমিটার গতিতে বল ছুড়ে একসময় ক্রিকেটবিশ্বে আলোড়ন তোলা এই বোলারকে ৭৫ লক্ষ টাকায় দলে নিয়েছিল কেকেআর। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এই মৌসুমে আর তাকে বেগুনি জার্সিতে দেখা যাবে না। তার এই অনুপস্থিতি কেকেআরের বোলিং বিভাগে বড় শূন্যতা তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে ডেথ ওভারে তার এক্স-ফ্যাক্টরের অভাব অনুভূত হতে পারে।
বদলি হিসেবে এলেন চেতন সাকারিয়া
যদিও নাইট শিবির হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি। উমরানের (Umran Malik) পরিবর্ত হিসেবে এবার মূল স্কোয়াডে উঠে এলেন চেতন সাকারিয়া। বাঁহাতি এই পেসারকে কেকেআর প্রথমে নেট বোলার হিসেবে রেখেছিল, কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় এবার তিনি মূল দলে জায়গা পেয়ে গেলেন। বাঁহাতি পেসার হিসেবে তিনি ডেথ ওভারে কার্যকরী হতে পারেন এবং নতুন বলে সুইংও আদায় করে নিতে পারেন। সাকারিয়ার বোলিং বৈচিত্র্য কেকেআরের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে।
এনসিএতে উমরান (Umran Malik), কেকেআরের সিদ্ধান্ত
বর্তমানে উমরান মালিক বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (NCA) রিহ্যাবে রয়েছেন। নাইট রাইডার্সের আশা ছিল, এপ্রিলের মাঝামাঝি তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফিরবেন এবং এনসিএ থেকে খেলার ছাড়পত্র পাবেন। কিন্তু পুনরায় চোটের শঙ্কায় দল ঝুঁকি নিতে চায়নি। আইপিএলের মতো দীর্ঘ প্রতিযোগিতায় একজন পেসারকে অর্ধেক ফিটনেস নিয়ে খেলানো বড় ঝুঁকির ব্যাপার। ফলে আগেভাগেই চেতন সাকারিয়াকে মূল স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উমরানের উত্থান ও দুঃস্বপ্ন
হায়দরাবাদ শিবিরে থাকাকালীন উমরান (Umran Malik) ভারতীয় ক্রিকেটে এক নতুন গতি-তারকা হিসেবে আবির্ভূত হন। কিন্তু বারবার চোট-আঘাত তার ক্যারিয়ারের গতিপথ থামিয়ে দিয়েছে। জাতীয় দলে সুযোগ পেলেও ধারাবাহিকতা রাখতে পারেননি। এবারও চোটের কারণে আইপিএলে তার স্বপ্ন অধরা থেকে গেল। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তার বিধ্বংসী স্পেল দেখার জন্য ভক্তরা মুখিয়ে ছিলেন। কিন্তু চোট তার সেই প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনাকে শেষ করে দিল।
সাকারিয়ার আইপিএল অভিজ্ঞতা
ভারতের হয়ে ইতিমধ্যেই একটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন চেতন সাকারিয়া। আইপিএলেও তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে—১৯ ম্যাচে ২০টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। নাইট রাইডার্স তাকে ৭৫ লক্ষ টাকায় দলে নিয়ে এবার পেস বিভাগে স্থিতিশীলতা আনতে চাইবে। সাকারিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তার বৈচিত্র্যময় ডেলিভারি এবং চাপের মুহূর্তে ঠান্ডা মাথায় বোলিং করা। তার ইনসুইং ও আউটসুইংয়ের মিশ্রণ ব্যাটসম্যানদের বিপাকে ফেলতে পারে।
নাইট রাইডার্সের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
উমরানকে (Umran Malik) হারানো বড় ধাক্কা হলেও, নাইট রাইডার্স এখন সাকারিয়ার অভিজ্ঞতার ওপর ভরসা রাখতে বাধ্য। তবে সাকারিয়া উমরানের গতির অভাব কতটা পূরণ করতে পারবেন, সেটাই দেখার বিষয়। নাইট রাইডার্সের বোলিং ইউনিটের জন্য এটি একটি কঠিন পরীক্ষা হতে চলেছে। তবে শুভমান গিলের নেতৃত্বাধীন দলটি মাঠে নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত। মাঠে শেষ হাসি কে হাসবে, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা!