Unhealthy Lifestyle: খুব সাবধান, অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন হতে পারে স্বাস্থ্যহানীর কারণ। যুগ পাল্টাচ্ছে, বাড়ছে ডিজিটালাইজেশনের প্রভাব। পাশাপাশি বাড়ছে অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের প্রবণতাও। এই অনিয়ন্ত্রিত, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনই (Unhealthy Lifestyle) আমাদের মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের কারণে দেহে বাসা বাঁধতে পারে একাধিক প্রাণঘাতী রোগ। সমীক্ষা বলছে, যুব সমাজ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে স্থূলতা এবং হৃদরোগের পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে যেতে চলেছে। যা কোন ব্যক্তির শারীরিক সুস্থতার জন্য মোটেই ভালো নয়।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে একটি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে স্থূলতা এবং হৃদরোগ মানব জীবনে অনেক বড় আকার ধারণ করতে চলেছে। আরো নতুন ৫০ কোটি কেস তৈরি হতে পারে শুধুমাত্র এই ধরনের রোগের কারণে। এবং এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হবার প্রবণতা মহিলাদের মধ্যেই বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়া বাড়তে পারে ক্রনিক লাইফ স্টাইল ডিজিজের পরিমাণও। যার কারণে মৃত্যুর হার বাড়তে পারে ৭০ শতাংশ।
সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সবথেকে বেশি শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন চাকরিজীবীরা। ভবিষ্যৎ জীবনে যা মারাত্মক রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের (Unhealthy Lifestyle) কারণে চাকুরীজীবীদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে একাধিক রোগ। স্থূলতা, স্ট্রোক, হৃদরোগ, মেটাবলিক সিনড্রোম, ডায়াবেটিস ইত্যাদি। যা পরবর্তী জীবনে অনেক বড় আকারে দেখা দিতে পারে। এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন: জল সেবনেরও রয়েছে নির্দিষ্ট পরিমাণ, শরীর সুস্থ রাখতে নিয়ম মেনে জল পান করুন
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একাধিক মেডিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে পুরুষদের মধ্যে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হবার প্রবণতা অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে মহিলাদের মধ্যে দেখা যায় স্থূলতার প্রভাব। যার কারণে পরবর্তী জীবনে অনেক জটিল রোগের শিকার হতে পারেন মহিলারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনই (Unhealthy Lifestyle) এই সমস্ত রোগের একমাত্র কারণ। জীবন যাপনে পরিবর্তন আনলে কিছুটা হলেও রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও সারাদিনের কাজকর্মের একাধিক অভ্যাসে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম অত্যন্ত উপকারী।
চিকিৎসা শাস্ত্রের মতে, বহু রোগের উপশম করা যেতে পারে শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের মাধ্যমে। বিশেষত লাইফ স্টাইল ডিজিজ নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন প্রকার ওষুধের প্রয়োজনই পড়ে না। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনই শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই রাত জাগার প্রবণতা রয়েছে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর (Unhealthy Lifestyle)। সঠিক সময়ে ঘুম এবং প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম আবশ্যক। বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন, ঘরে তৈরি টাটকা খাবার খান, নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। প্রতিদিন মাত্র ৪৫ মিনিটের ব্যায়াম আপনার শরীরকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করতে পারে।