US Travel Ban: আমেরিকা হল বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র, তবে সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোন দেশের প্রতি এর আগে এত কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। কিন্তু ভবিষ্যতে একাধিক রাষ্ট্রের ওপর চাপলো নিষেধাজ্ঞা, প্রবেশের অধিকার বন্ধ হল আমেরিকাতে। কেন এত কড়া সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট? সাম্প্রতিক কলোরাডোয় ইজরায়েলি গোষ্ঠীর উপর হামলাকে সামনে রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তিনি কোনরকম সমঝোতা করবেন না।
তালিকায় রয়েছে কোন কোন দেশ (US Travel Ban)?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ অনুসারে কিছু কিছু দেশের নাগরিকেরা আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারবে না (US Travel Ban)। মোট ১২টি দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি তিনি বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন সাতটি দেশের উপর। আমেরিকায় ঢোকা পুরোপুরি নিষিদ্ধ আফগানিস্তান, মায়ানমার, চাদ, রিপাবলিক অফ কঙ্গো, ইকুয়েটোরাল গিনি, এরাট্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের।
আবার বেশ কিছু দেশের নাগরিকদের ওপর বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ (US Travel Ban) করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তালিকাতে রয়েছে বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টঙ্গো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনিজুয়েলা। আমেরিকা ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, B-1, B-2, F, M এবং J, ইমিগ্র্যান্ট এবং নন ইমিগ্র্যান্ট, দুই ধরনের ভিসাই সীমিত করা। এছাড়া অভিযোগ করা হয়েছে ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরও আমেরিকা ছাড়তে চায়নি অনেকেই এবং তদন্তকারীদের সহযোগিতা পর্যন্ত করেনি।
কবে কার্যকর হবে নিষেধাজ্ঞা (US Travel Ban)?
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, আগামী ৮-৯ জুন মধ্যরাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা (US Travel Ban)কার্যকর হবে। হোয়াইট হাউস আরো জানিয়েছে, আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার কথা আগে চিন্তা করতে হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির উপরই নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। তবে বেছে বেছে মুসলিম দেশগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে ট্রাম্প উদ্যোগী এমনটাই দাবি করা হয়েছে। তিনি এমন ঘোষণা করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবার পরই।
আরও পড়ুন: চোখের নিমেষে ভেঙ্গে পড়ল ৩০ তলা, ব্যাঙ্ককে দেখা দিল মায়ানমারের কম্পনের প্রভাব
কি বলছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট?
তার মতে, যে কোনও দেশের শরণার্থীদের জন্য দরজা খুলে দেবে না আমেরিকা। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে সঠিক যাচাই ছাড়া প্রবেশ সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কলোরাডো বোল্ডারের সন্ত্রাসী হামলায় তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
কেন আফগানিস্তানকে নিষিদ্ধ (US Travel Ban) করা হলো?
আফগানিস্তানকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তালিবানের আধিপত্য, ইরান ও কিউবার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত জোগানো এবং চাড ও এরাট্রিয়ার বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদের চেয়ে দীর্ঘ সময় আমেরিকায় থেকে যাওয়ার কারণকে কেন্দ্র করে। প্রথম দফায় ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরাক, সিরিয়া, ইরান, সুদান, লিবিয়া, সোমালিয়া এবং ইয়েমেনের উপর আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু সেই নীতি থেকে ২০২১ সালে সরে আসেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরে আগের নীতিই চালু করলেন।
এই রকম আরও খবর পেতে চোখ রাখুন লোকাল সংবাদের পাতায়