Burnt Brick: পরিবেশ রক্ষার্থে সরকারের নতুন উদ্যোগ, বন্ধ হতে চলেছে পোড়া ইটের ব্যবহার

Burnt Brick: পরিবেশ রক্ষার্থে সরকারের নতুন উদ্যোগ, বন্ধ হতে চলেছে পোড়া ইটের ব্যবহার। দেশজুড়ে পোড়া ইটের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে সরকার। যে কোন প্রকার নির্মাণ কার্যের জন্য সাধারণত পোড়া ইটেরই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিশেষত পাকা বাড়ি তৈরীর ক্ষেত্রে এই ইটের ব্যবহার অনিবার্য। কিন্তু খুব শীঘ্রই সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ হতে চলেছে পোড়া ইটের ব্যবহার। ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি সরকারি দপ্তরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। হঠাৎ করে কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? তাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

ভারতের পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এই বিষয়ে নিজের মন্তব্য ব্যক্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে পোড়া ইটের (Burnt Brick) ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ হতে চলেছে। তিনি জানিয়েছেন, পরিবেশ দূষণের অন্যতম বড় কারণ ইট ভাটা। ইট ভাটায় পোড়ানো ইট তৈরি করার সময় যে পরিমাণে পরিবেশ দূষণ হয় তা বোধহয় অন্য কোন জায়গা থেকে হয় না। সেই কারণে নতুন করে কোন ইট ভাটা তৈরীর অনুমোদন দিচ্ছে না সরকার। এমনকি প্রায় ৩৪৯১ টি অবৈধ ইট ভাটার অনুমোদন বাতিল করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

যেকটি ইট ভাটা রয়েছে প্রত্যেকটির স্থানান্তরের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সরকারই পোড়া ইটের (Burnt Brick) সবথেকে বড় ক্রেতা। প্রত্যেকটি সরকারি ভবন নির্মাণ, রাস্তা নির্মাণ ইত্যাদি নানা কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় পোড়া ইট। কিন্তু এই পোড়া ইটের কারণে সব থেকে বেশি দূষণ ছড়াচ্ছে। তাই সরকারকেই সবার আগে এই পোড়া ইটের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পোড়া ইটের পরিবর্তে এমন কোন উপাদান নিয়ে আসতে হবে যা পোড়া ইটের সমান কাজ করবে অথচ পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়তা করবে।

আরো পড়ুন: খালিস্তানি উপদ্রবে অশান্ত কানাডা, খোদ কানাডিয়ানদেরই দেশ ছাড়তে হুমকি

পোড়া ইটের (Burnt Brick) বিকল্প হিসেবে কি ব্যবহার করা যেতে পারে সেই বিষয়েও নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন উপদেষ্টা। তিনি জানিয়েছেন পোড়া ইটের পরিবর্তে ব্লক ইটের ব্যবহার করা যেতে পারে। আপাতত সরকারের উচিত এই ব্লক ইট তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া। প্রথমে সরকারকে পোড়া ইটের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তার পর ধীরে ধীরে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে এই পোড়া ইটের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করতে হবে। তবে পরিবেশ দূষণের একটি বড় কারণকে সমূলে নির্মূল করা সম্ভব হবে।

ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি জিগজ্যাগ ইট ভাটার মালিককে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে উপযুক্ত সরকারি নিয়ম মেনে ইট ভাটা চালাতে হবে। অনিয়ম দেখলেই সেই ইট ভাটা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে দেওয়া হতে পারে। রীতিমতো কমিটি গঠন করে নজরদারি চালানো হবে প্রত্যেকটি ইট ভাটার উপরে। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পোড়া ইটের (Burnt Brick) ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করেন উপদেষ্টা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *