ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের দুর্দান্ত খেলোয়াড় হলেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। যিনি একাধারে বীরু নামেও পরিচিত। খেলার জগতে বেশ নামডাক রয়েছে বীরেন্দ্র শেহওয়াগের। ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন তিনি। পরবর্তীতে ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটে জায়গা পান ২০০১ সালে। আর সেই স্বনামধন্য ব্যক্তির ভাই বিনোদ শেহওয়াগের বিরুদ্ধে উঠেছে বড়সড় অভিযোগ। আর সেই অভিযোগে গ্রেফতার করেছে মনিমাঝরা থানার পুলিশ। কি কেলেঙ্কারি ঘটিয়ে বসলেন বীরুর ভাই বিনোদ? বর্তমানে কোন পরিস্থিতিতে রয়েছেন তিনি?
সূত্রের খবর, বীরেন্দ্র শেহওয়াগের ভাই বিনোদ শেহওয়াগ। হরিয়ানার বাহাদুরগড়ে ‘জাল্টা ফুড অ্যান্ড বেভারেজেস’ নামে একটি কারখানা করে। তবে বিনোদ একা নয় তার সাথে অংশীদারি হিসেবে আরও দুজন এই কারখানায় পরিচালনায় রয়েছেন তারা হলেন সুধীর মালহোত্রা এবং বিষ্ণু মিত্তল। তিন বন্ধুর পরিচালিত এই কারখানায় তৈরি হয় কোল্ড ড্রিঙ্কস। অর্থাৎ এই কারখানায় নানান স্বাদের কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং জলজিরা প্লাস্টিকের বোতলে ভর্তি করা হয়। আর তার জন্য সেই প্লাস্টিকের বোতল আনা হয় হিমাচলের নয়না প্লাস্টিক কোম্পানি থেকে। আর সেই কোম্পানি তরফেই বিনোদ শেহওয়াগের বিরুদ্ধে বিরাট অভিযোগ তুলেছে।
নয়না প্লাস্টিক কোম্পানি তরফে ৭ কোটি টাকার চেক বাউন্সের অভিযোগ তুলেছে বিনোদ শেহওয়াগের বিরুদ্ধে। কোম্পানির মালিক কৃষ্ণ মোহন বাবু বিনোদ শেহওয়াগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ‘জাল্টা ফুড অ্যান্ড বেভারেজেস’ কোম্পানি নয়না প্লাস্টিক কোম্পানি থেকে বেশ কিছু সামগ্রী কেনেন। আর তার জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানি তরফে নয়না প্লাস্টিক কোম্পানিকে ৭ কোটি টাকার চেক দেয়। তারপরেই চেক বাউন্স হয়ে যায়। আর এই বাউন্স হয়ে যাওয়াতেই ১৩৮ ধারায় পরিচালকের বিরুদ্ধে জেলা আদালতে মামলা দায়ের করেন কৃষ্ণ মোহন বাবু।
আরও পড়ুন: হাওড়া বা শিয়ালদহ নয়, তাহলে দক্ষিণের সবথেকে পুরনো রেলওয়ে জংশন কোনটি?
তবে কৃষ্ণ মোহন বাবুর করা অভিযোগে আদালতে কোনো অভিযুক্তই হাজির হননি। যার ফলে ২০২২ সালে আদালত ৩ অভিযুক্তকে পলাতক ঘোষণা করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিল। আর সেই মতোই ২০২৩ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর মনিমাঝরা থানার পুলিশ ১৭৪ ধারা অনুযায়ী ‘জাল্টা ফুড অ্যান্ড বেভারেজেস’-এর তিন পরিচালক বিনোদ শেহওয়াগ, সুধীর মালহোত্রা এবং বিষ্ণু মিত্তলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বীরুর ভাই বিনোদ শেহওয়াগকে গ্রেফতার করেন চন্ডীগড়ের মনিমাঝরা থানার পুলিশ। অ্যারেস্ট করার পর অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তারপর সেখান থেকে পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। অন্যদিকে জামিনের জন্য জেলা আদালতে আবেদন করেন বিনোদ শেহওয়াগ। জামিনের শুনানির পর মনিমাঝরা থানার পুলিশকে জবাব দাখিল করার নোটিশ জারি করেছে সিজিএম। মনিমাঝিরা থানার পুলিশ তরফে সেই জবাব দেবে বলে জানিয়েছে ১০ই মার্চ। অন্যদিকে শুক্রবার ১৩৮ নম্বর টাকা কেলেঙ্কারির মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।