ইতিমধ্যে হিমেল হাওয়ায় শরীর মন জুড়ে যেন এক ঠান্ডা অনুভূতি হতে শুরু করেছে। সামনেই আসছে আবার ডিসেম্বর মাস। আর ডিসেম্বর মাস মানে এক ঝাঁক ছুটি। বড়দিন থেকে শুরু করে নিউ ইয়ার পর্যন্ত বেশ অনেক দিনের লম্বা ছুটি পাওয়া যায়। আর শীতকালীন ছুটি মানেই মন ডাকে পাহাড়ের দিকে। বাঙালীদের কাছে পাহাড় মানেই প্রথম নাম মাথায় আছে দার্জিলিংয়ের। কিন্তু সব সময় কি একই জায়গায় যেতে মন চায়? তাই আজকে প্রতিবেদনে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব দার্জিলিংয়ের একটি অফবিট জায়গা সম্পর্কে। আজ বলবো একটি ছোট্ট গ্রাম কায়াবীরের কাহিনী।
দার্জিলিং সব পর্যটকদের তালিকাতে প্রথমে উঠে আসে। যার ফলে যে কোন সিজনে দার্জিলিং এ বেশ ভিড় হয়। কিন্তু আপনি যদি মনে করেন যে এবার ছুটিতে একটু নির্জনে নিরিবিলিতে সময় কাটাবেন তবে একবার ঘুরে আসতেই হবে দার্জিলিংয়ের এই অফবিট জায়গা কায়াবীরে। সারাদিনের ব্যস্ততা, কাজের চাপ, পড়াশোনায় প্রতিযোগিতা – এই সমস্ত কিছু থেকে এক ছুটে পালিয়ে যেতে পারেন এই গ্রামে। এখনো পর্যন্ত পর্যটকদের চোখ এসে পড়েনি এই গ্রামে। যার ফলে মানুষের ভিড় অনেক কম।
খুব আহামরি ট্যুরিস্ট স্পট না থাকলেও নিরিবিলিতে বেশ কয়েকটা দিন কাটিয়ে নেওয়া যায় এই কায়াবীরে। তার কারণ পাহাড়ের বেশ উঁচু জায়গায় অবস্থিত এই ছোট্ট গ্রাম যার ফলে গ্রামের যেখানে আপনি থাকবেন সেইখান থেকে পুরো পাহাড়ের দৃশ্য আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে। নিচে নামলেই শুরু হবে ঘন পাইনের জঙ্গল। শুধু পাহাড় বা জঙ্গল নয় রয়েছে ঝা চকচকে পাহাড়ি ঝর্ণা। এছাড়া নাগ মন্দিরে রয়েছে। এই গ্রামে অল্প সংখ্যক টুরিস্ট স্পট রয়েছে যেখানে আপনারা গাড়ি বুক করে ঘুরে আসতে পারেন।
আরও পড়ুন: কেন ভাঙা হচ্ছে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত ‘আবাস’? ক্ষোভ স্থানীয় মানুষের মধ্যেও
পর্যটকদের ভিড় না জমলেও কায়াবীর গ্রামে কিন্তু থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। এখানে বেশ কিছু হোমস্টে রয়েছে যেগুলি মাথাপিছু ১৩০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা। হোমস্টে ছাড়া বিভিন্ন ধরনের হোটেল, রিসোর্ট আছে। তবে সেখানকার খরচা তুলনামূলক একটু বেশি। এবার নিজস্ব খরচখরচা বা টুকটাক আশেপাশে সাইট সিন দেখতে গেলে গড়ে দু-তিন দিনে তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
দার্জিলিংয়ের এই অফবিট জায়গা কায়াবীর যাবেন কীভাবে? প্রথমে হাওড়া বা শিয়ালদাহ থেকে যে সমস্ত ট্রেন উত্তরবঙ্গগামী সেই ট্রেন ধরতে হবে। ট্রেনে করে NJP নামতে হবে। সেখান থেকে সোজা গাড়ি করে যাওয়া যাবে কায়াবীর। সুখিয়া বাজার থেকে ২ কিলোমিটারের দূরত্বেই রয়েছে কায়াবীর। এনজিপি থেকে গাড়ি করে গেলে প্রায় দু থেকে আড়াই হাজার টাকা গাড়ি ভাড়া লাগবে। আর যদি ট্রেনে যান তবে ট্রেনের টিকিট মাত্র ৩৫০ টাকা।