Best Winter Destinations: সারা বছরই টুকটাক ভ্রমণ হলেও বছর শেষের এই লম্বা ছুটিতে ভ্রমণ কোথাও একটা স্পেশাল জায়গা রাখে সকলের জন্য। এই সময় বাচ্চাদের পরীক্ষার চাপ থাকেনা সঙ্গে থাকে বড়দিন সহ একাধিক ছুটির দিন। শীতের মরশুমে মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে বেরিয়ে পড়া যেতেই পারে এই তিন ডেস্টিনেশনের উদ্দেশ্যে:
১. কচ্ছের রন
গুজরাতের উত্তরে পাকিস্তানের সীমান্ত ঘেঁষা এলাকা হলো কচ্ছের রন। শীতের মরশুমে ঘোরার জন্য এই স্থান (Best Winter Destinations) হতে পারে উপযুক্ত। কচ্ছ এলাকায় বিস্তৃত সাদা নোনা বালির রণ দেখতে প্রতিবছরই আনাগোনা থাকে পর্যটকদের। শীতের সময়ই এর সৌন্দর্য আরও বেশি করে উপভোগ করা যায় অন্যসময় থাকে খালি জলাভূমি। শীতের সময় নাচ, গান এবং হয় হুল্লোরের মধ্যে দিয়ে এখানে পালন হয় রন উৎসব।
হোটেল ব্যবস্থা: শীতের রণ উৎসব উপভোগ করার সময় বিলাবহুল তাঁবুতে কয়েকটা রাত কাটানো যেতে পারে। অন্যথায় নিকটবর্তী শহরে হোটেলে থেকে ভ্রমণ করা যেতে পারে কচ্ছের রণ।
পথ নির্দেশিকা: বিমানে বা ট্রেনে আমেদাবাদ পৌঁছে সেখান থেকে সড়ক পথে পৌঁছে যাওয়া যেতে পারে কচ্ছের রণে। এর নিকটবর্তী ভূজ শহরে রয়েছে বিমানবন্দর এবং রেল স্টেশনও। তাই উভয় মাধ্যমেই পৌঁছে যাওয়া যেতে পারে কচ্ছের রণে।
২. কেরলের ব্যাকওয়াটার
প্রবল গরমে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্যে কেরল ভ্রমণ করা না গেলেও শীতের ভ্রমণের জন্য এই জায়গা (Best Winter Destinations) একদম সঠিক। সমুদ্র উপকূল, পাহাড়, চা বাগান, ঝর্না, ও মন্দিরের একত্রে উপভোগ করার জন্য ব্যাকওয়াটার অন্যতম। গ্রাম্য মায়াবী পরিবেশে হারিয়ে যেতে এই স্থান বেছে নিতে পারেন ভ্রমণের জন্য। স্বপ্নের মতো অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করতে এই ভ্রমণের কথা ভেবে দেখতে পারেন। এছাড়া এর সুপরিকল্পিত জলপথের কারণে একে প্রাচ্যের ভেনিস নামেও ডাকা হয়।
হোটেল ব্যবস্থা: কেরলের ব্যাকওয়াটার ঘুরতে গেলে সেখানকার হাউসবোটে থাকা ও খাওয়ার অভিনব ব্যবস্থা থাকে। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন মানের হোটেলও।
পথ নির্দেশিকা: কলকাতা থেকে সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যেতে পারে আলাপ্পুঝা। এছাড়া শিয়ালদহ বা হাওড়া থেকে কোচি ট্রেনে পৌঁছে সড়ক পথে পৌঁছানো যেতে পারে ওই জায়গায়।
আরো পড়ুন: ছুটির মরশুমে দারুন চমক দিলো IRCTC, মাত্র ১৭০০ টাকায় ঘোরা যাবে বৈষ্ণদেবী মন্দির
৩. ওড়িশার গোপালপুর
নিরিবিলি উত্তাল সমুদ্র উপভোগ করতে শীতের সময়ের অন্যতম সেরা ভ্রমণ স্থান (Best Winter Destinations) হতে পারে গোপালপুর। যারা মানুষের কোলাহল থেকে দূরে নির্জনে সমুদ্রের সামনে বসে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে চাইছেন তাদের জন্য এই স্থান উপযোগী। এছাড়াও কাছাকাছি ঘুরে আসতে পারেন রম্ভা, বরকুল, দরিংবাড়ি থেকে। উপভোগ করতে পারবেন পাহাড় ও ঝর্নার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য।
হোটেল ব্যবস্থা: গোপালপুর সমুদ্রের ধারে বিভিন্ন মানের সারি সারি হোটেল রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ওড়িশা পর্যটন দপ্তরের পান্থ নিবাস।
পথ নির্দেশিকা: হাওড়া থেকে ট্রেনে যেতে হবে ব্রহ্মপুর। সেখান থেকে ৩০ মিনিট গাড়ির যাত্রাতেই পৌঁছে যাওয়া যাবে গোপালপুর।