West Bengal Finance Department: মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধির নাম নেই, এর মাঝেই অর্থ দপ্তরের কর্মীদের নিয়ে বিস্ফোরক সরকার

West Bengal Finance Department: দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষেও মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে চুপ করে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। দেশে আসতে চলেছে অষ্টম পে কমিশন এদিকে পঞ্চম পে কমিশনের বকেয়া টাকা পেতে বহুবছর ধরে সুপ্রিম কোর্টে চলছে মামলা। এই অবস্থায় অর্থ দপ্তর নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল তিনি বলেন অর্থ দপ্তরের সচিব প্রভাত মিশ্র ভালো মানুষ। তবে ওনার দপ্তরে অনেক বামপন্থী লোক আছে। বলে রাখি মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে যেসব মামলা করেছে রাজ্য সরকারি কর্মীরা তার প্রতিটিতেই হেরেছে রাজ্য সরকার। এখন মামলাটি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এরই মাঝে সরকারি কর্মীদের তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বনদ্যোপাধ্যায়।

তাঁর কথায় বামপন্থী সরকারি কর্মীরা অর্থ দপ্তরকে (West Bengal Finance Department) আলিমুদ্দিন স্ট্রিট বানিয়ে দিয়েছে। অল্প কয়েকজন বাদে সকলেই বামপন্থী রাজনীতির আলোচনা করেন। তাই প্রয়োজনে নতুন লোক নিয়োগ করে কাজ করাতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন তিনি নিজে অর্থ দপ্তরে গিয়ে দেখেছেন তা নাহলে তিনি এত কিছু বলতেন না। সেখানে ফাইলের পর ফাইল জমছে। মিটিং মিছিল করার জন্য অর্থদপ্তর খোলা নেই।

বলে রাখা ভালো, কয়েক বছর ধরেই কর্মীদের মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে চাপে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এরই মাঝে অর্থ দপ্তরের (West Bengal Finance Department) কর্মীদের কাজের ব্যাপারে এর আগেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও ডিএ আন্দোলনে যোগদানকারী কর্মীদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া ডিএ আন্দোলনের সাথে যুক্ত রাজ্য সরকারি কর্মীদের বদলি করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

আরো পড়ুন: নতুন চমক আনছে EPFO, এই নিয়ম না জানলে সমস্যায় পড়তে হবে

বর্তমানে রাজ্যে ১৪ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা পাচ্ছে কর্মীরা। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা পাচ্ছেন ৫৩ শতাংশ। ফলে ক্রমাগত এই তফাৎ বেড়েই চলেছে। গত বছরের বড় দিনে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা বাড়ানো হয়। তবে ২০২৪ সালে ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে কোনো খবরই দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে রাজ্যের আন্দোলনকারী কর্মীদের দাবি তাদের প্রাপ্য ৩৯ শতাংশ ডিএ অবিলম্বে তাদের দিতে হবে।

এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় হারে ডিএ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনড় রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭০ সালে গঠন হয় পে কমিশন। এই হিসেবে কেন্দ্রে যখন পঞ্চম পে কমিশন চালু হয় তখন রাজ্যে চতুর্থ পে কমিশন কার্যকর হয়। ফলে মহার্ঘ্য ভাতার ক্ষেত্রেও কিছু তফাৎ থেকে যাচ্ছে। তবে এদিন অর্থ দপ্তরের (West Bengal Finance Department) কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আবারও চর্চার শীর্ষে উঠে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *