Primary Semester System: পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার নিয়মে বড় পরিবর্তনের ঘোষণা করা হলো। এবার প্রাথমিক শিক্ষার সাথে পরিচয় হতে চলেছে সেমিস্টার ব্যবস্থা। এতদিন শুধুমাত্র কলেজের ক্ষেত্রেই বছরে দুটি পরীক্ষা অর্থাৎ সেমিস্টার পরীক্ষার চল ছিল। এবার সেই পরিবর্তন আসতে চলেছে প্রাথমিকেও। জানা যাচ্ছে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হতে চলেছে ক্রেডিট বেসড এই সেমিস্টার সিস্টেম। পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সুত্রে জানা গিয়েছে এবার থেকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বাচ্চাদের বছরে দুটি করে পরীক্ষা বা সেমিস্টার নেওয়া হবে। জুন মাসে হবে প্রথম সেমিস্টার এবং ডিসেম্বরে হবে দ্বিতীয়টি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদেই পরীক্ষা নেওয়া হবে প্রতিটি স্কুলে। এবার থেকে মার্কশিটে আসতে চলেছে ক্রেডিট পয়েন্টও।
পর্ষদের তরফে জানা গিয়েছে যে ক্রেডিট বেসড সেমিস্টার সিস্টেম (Primary Semester System) চালু করা হচ্ছে। এবার থেকে বাচ্চাদের মার্কশিটে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সাথে থাকবে ক্রেডিট পয়েন্টও। পরীক্ষা হবে সেমিস্টার সিস্টেমে। বছরে দুটি করে সেমিস্টার নেওয়া হবে। বছরের শুরু থেকে ৬ মাস পর প্রথম সেমিস্টার এবং তারপরের ৬ মাসের পড়াশোনার পর পরের সেমিস্টারটা নেওয়া হবে। জানা যাচ্ছে এবার প্রশ্নপত্র তৈরি করবে বোর্ড। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হতে চলেছে এই নিয়ম।
ছোট থেকেই সর্বভারতীয় পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য তৈরি করতে চাইছে পর্ষদ। জানা যাচ্ছে NCERT দ্বারা তৈরী একটি কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী চলবে এই সেমিস্টার সিস্টেমে (Primary Semester System) পঠন-পাঠন। এই বিষয়ে পর্ষদের সভাপতি জানান ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শুরু হবে নতুন এই পদ্ধতি। সেই জন্য প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত এই সেমিস্টার সিস্টেমে পড়াশুনো চলবে। জুন মাসে হবে প্রথম পরীক্ষা। প্রতি বছর দুটো করে পরীক্ষা নেওয়া হবে ছাত্র-ছাত্রীদের।
আরো পড়ুন: মনোবিদ্যায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু পিএইচডি রেজিস্ট্রেশন
পর্ষদের বক্তব্য অনুযায়ী প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যেকের নামে তৈরি করা হবে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার। এরপর বিদ্যালয়ে ওই পড়ুয়া কতটা মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনো করছে তার উপরে নির্ভর করেই দেওয়া হবে ক্রেডিট পয়েন্ট। এর সাথে কো-কারিকুলার একটিভিটিতে থাকবে পয়েন্ট। এছাড়া এবার থেকে সব স্কুলে একই প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। নতুন এই সেমিস্টার সিস্টেমে (Primary Semester System) মোট ১০০ নাম্বারের ৬০ নাম্বার লিখিত হলেও বাকি ৪০ রাখা হবে পড়ুয়ার সামগ্রিক পারফরম্যান্সের উপর।
দেশের মধ্যে প্রথম পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রেই এই সেমিস্টার পদ্ধতি (Primary Semester System) চালু হলো বলে দাবি পর্ষদের। এই বিষয়ে পর্ষদের আধিকারিক গৌতম পাল জানান ২০০৯ সালের রাইট টু এডুকেশন নিয়ম অনুযায়ী পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত নো ডিটেনশন পলিসি রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে একটি শিক্ষাবর্ষে ৮০০ ঘণ্টা কাটানোর নিয়ম রয়েছে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে সেই সময় দাঁড়ায় ১০০০ ঘণ্টা। এবার নতুন পদ্ধতিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে প্রতি সেমিস্টারে ৩৭৬ ঘণ্টা এবং তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ৪৬০ ঘণ্টা কাটাতে হবে বিদ্যালয়ে। এছাড়াও ২০২৬ সাল থেকে সিলেবাসেও বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে বলে খবর।