SpaceX: সুনীতা-বুচের পর ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের পরবর্তী মিশনে কি?

SpaceX: পৃথিবীর সবথেকে ধনীতম ব্যক্তি হলেন ইলন মাস্ক। ইলন মাস্কের সংস্থা ‘স্পেসএক্স’-এর (SpaceX) সফলতার কাহিনী বর্তমানে সকলেই জানেন। টানা ৯ মাস মহাকাশে আটকে ছিলেন মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং তার সহকারীরা। বুধবার ভোরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নভোচর সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোরের সফল প্রত্যাবর্তন হয়েছে। ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্স-এর মহাকাশযান ভোর ৩টে ২৭ মিনিট নাগাদ ফ্লোরিডার উপকূলের গাল্ফ অফ মেক্সিকোয় সফল অবতরণ করে। ইলন মাস্ক নিজে তাদেরকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। সেই স্পেস এক্স-এর পরবর্তী মিশন কি হতে চলেছে জানেন কি তা? যদি জানতে পারেন এই মিশনে জড়িয়ে রয়েছে আরেক ভারতীয়র নাম তাহলে নিশ্চয়ই অবাক হবেন।

২০২৫ সালেই নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেস এক্স ড্রাগন মহাকাশযানকে ফের উৎক্ষেপণ করা হবে। স্পেসএক্সের (SpaceX) ড্রাগন মহাকাশযানের পরবর্তী মিশন হলো ‘অ্যাক্সিওম মিশন ৪ (AX-4)। স্পেসএক্সের পরবর্তী অভিযানটি হবে মোট ১৪ দিনের। এই প্রাইভেট মিশনে যোগ দিতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজ্ঞানীরা অংশগ্রহণ করছেন।

ভারতীয়দের কাছে সবথেকে গর্বের বিষয় হলো অ্যাক্স-৪’ মিশনে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেবেন শুভাংশু শুক্লা। ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের টেস্ট পাইলট হলেন শুভাংশু। এছাড়াও তিনি ভারতের ‘গগনযান’ মিশনের সদস্য। ‘স্পেসএক্স’-এর (SpaceX) দ্বারা পরিচালিত এই মিশনটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে ইসরো। ‘গগনযান’ মিশনের ক্ষেত্রে এই মিশনের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

আরও পড়ুন: চাঁদের মাটি স্পর্শ করল বঙ্গকন্যা প্রিয়াঙ্কার নকশা, যা বিশ্বে প্রথমবার

ইলন মাস্কের সংস্থার (SpaceX) পরবর্তী মিশনে শুভাংশু শুক্লার সঙ্গে থাকছেন কমান্ডার হিসেবে নাসার প্রাক্তন মহাকাশচারী পেগি হুইটসন। পাশাপাশি এই মিশনে রয়েছেন ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার নভোচর পোল্যান্ডের সাওস উজানস্কি ও উইজনিয়েভস্কি এবং হাঙ্গেরির নভোচর টিবোর কাপু। ওই মহাকাশযানটিকে আন্তর্জাতিক স্পেস সেন্টারে গিয়ে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণামূলক কাজের জন্যই পাঠানো হচ্ছে।

‘অ্যাক্স-৪’ মিশন খুবই গুরুত্বপূ কারণ, পৃথিবীর প্রথম ‘কমার্সিয়াল স্পেস স্টেশন’ বানানোর জন্যেও এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নাসার আইএসএস প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডানা ওয়েইগেল বলেছেন, বর্তমান সময়ে এই ধরনের প্রাইভেট মিশন মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেকটাই সাহায্য করবে। মিশনটি সফলতা লাভ করলে গবেষণার ক্ষেত্রে কতটা যে উন্নতি হতে চলেছে তা বলে বোঝানোর মত নয়। আর এই মিশনে ইলন মাস্কের সংস্থা অন্যতম কান্ডারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *