Vitamin Deficiency: শীতের মরশুমে সর্দি কাশি নিয়ে অসুস্থ হওয়া খুব সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু কারো কারো ক্ষেত্রে খুব ঘন ঘনই এই সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। যারা এই একই সমস্যায় ভুগছেন জানেন কি এর সাথে শুধু ঠাণ্ডা লাগা জড়িয়ে নেই, লুকিয়ে আছে দেহে এই ভিটামিনের অভাব যার জন্য ঠাণ্ডার অনুভূতি বেশি অনুভব হয়! চলুন জেনে নিই কি সেই ভিটামিন এবং এর উৎস।
ঠাণ্ডা লাগার কারণ:
চিকিৎসকরা বলেন দেহে যদি ভিটামিন B12-এর অভাব (Vitamin Deficiency) হয় তবে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা লাগার মতো সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। এই ভিটামিন দেহের লাল রক্তকণিকা গঠন এবং রক্তে অক্সিজেনের সঞ্চালনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এর অভাব হলে দেহে ভালো করে রক্ত সঞ্চালন হয়না। যে কারনে রক্ত শূন্যতার সমস্যা থেকে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা লাগা এবং সর্দি কাশির সমস্যা হতে পারে। এই ভিটামিনের অভাবে বমি, গা গোলানো, ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়াও স্নায়ু এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
আমাদের ত্বক প্রথম তাপমাত্রার পার্থক্য বুঝতে পারে। যার থেকে ত্বকে ঠাণ্ডা জ্বালা ভাব এবং আঙুল অসার হয়ে যাওয়ার মত সমস্যাগুলি দেখা যায়। ঠাণ্ডার অনুভূতি পেয়ে আমাদের চামড়ার নিচে থাকা থার্মো রিসেপ্টর স্নায়ুর তরঙ্গের আকারে মস্তিষ্কে বার্তা পাঠায়। যার তরঙ্গের পরিমাণ দেহ ভেবে সাধারণত আলাদা হয়। ওই তরঙ্গ গিয়ে পৌঁছয় মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসে। এই হাইপোথ্যালামাস শরীরের ভিতরের এবং পরিবেশের তাপমাত্রায় ভারসাম্য বজায় রাখে। আর এই ভারসাম্য বজায়ের কারণে ঠাণ্ডা লাগল আমাদের রোম খাঁড়া হয় এবং পেশীর কাঁপুনি অনুভুত হয়।
আরো পড়ুন: সঙ্গে রাখুন এই তিনটি ওষুধ, কমবে হার্ট অ্যাটাকে ঝুঁকি
মস্তিষ্কে ঠাণ্ডার বার্তা গেলে আমাদের দেহের তাপমাত্রা কমার উপর বাধা আসে। তখন মস্তিষ্ক শরীরের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা কমে আসার বার্তা দেয় এবং শরীরের তাপমাত্রা যাতে অতিরিক্ত নেমে না যায় সেই জন্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলিকে নিয়ন্ত্রণের আদেশ দেয় কারণ খুব অল্প তাপমাত্রায় শরীরের সহ্য ক্ষমতা হারিয়ে যায়। অর্থাৎ ভিটামিন B12-এর অভাব (Vitamin Deficiency) দেখা দিলে স্নায়ুতন্ত্র হোক বা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কোনোটিই সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রিত হবেনা ফলে ঠাণ্ডা বেশি লাগবে। বেশি ঠাণ্ডা লেগে মাল্টি অর্গান ফেলিওরে প্রাণহানি হতে পারে।
ভিটামিন B12-এর উৎস:
এই ভিটামিন বেশ কয়েকটি উৎস থেকে পাওয়া যায় যেগুলি রোজ খাদ্যতালিকায় রাখলে আসন্ন শীতে শারীরিক অসুস্থতায় কম পড়তে হয়। মাছ, কাঁকড়া, ডিম, সয়াবিন, দুধ, টফু, পনির ইত্যাদি উৎস থেকে পর্যাপ্ত ভিটামিন B12 (Vitamin Deficiency) পাওয়া যায়। দুধ হলো নিরামিষ এবং এই ভিটামিনের অন্যতম একটি রিচ উৎস। কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত যেকোনো খাদ্যেই এই ভিটামিনের উপস্থিতি রয়েছে। এছাড়া ডিমও এর একটি অন্যতম উৎস। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এইসব খাবার রাখলে শরীরে ভিটামিন, মিনারেলস এবং পুষ্টির অভাব মেটে।