Republic Day: প্রতিবছর এই দিনে প্যারেডে বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলো অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও প্যারেডে অংশগ্রহণ করে ভারতীয় সেনা, নৌসেনা ও বায়ু সেনা। এ বছর প্যারেডের থিম হলো “স্বর্নিম ভারত: ঐতিহ্য ও বিকাশ।” বিশেষ অথিতি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবাও সুবিয়ান্তো।
এই বিশেষ দিনটিতেই (Republic Day) সকালে কিছু সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রপতি পতাকা উত্তোলন করেন। সেনাকর্মীদের পরমবীর চক্র, অশোক চক্র ও বীর চক্রে ভূষিত করেন রাষ্ট্রপতি। এর পাশাপাশি পদ্ম পুরস্কারও প্রদান করা হয় বিশেষ কিছু নাগরিকদের। বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রারও আয়োজন করা হয়।
কিন্তু এই দিনটিই কেন? আসুন জেনে নেওয়া যাক, এর ইতিহাস। ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট দীর্ঘ ২০০ বছরের ইংরেজ শাসন থেকে মুক্তি পায় ভারত। কিন্তু সেসময় ভারতের কোনো নিজস্ব সংবিধান ছিল না। ১৯৪৭ সালে ২৯শে আগস্ট একটি খসড়া কমিটি গঠন করা হয়, ভারতে স্থায়ী সংবিধান প্রণয়নের স্বার্থে। ১৯৪৭ সালে ৪ই নভেম্বর খসড়া কমিটি সংবিধান সভায় ভারতীয় সংবিধানের খসড়া জমা দেয়।
আরও পড়ুন: জলসীমা লঙ্ঘন করায় গ্রেফতার ১০, আসল কারণ কি
কিছু সংশোধন, সংযোজন ও পরিবর্তনের পর এর তিন বছর বাদে ১৯৫০ সালে ২৪শে জানুয়ারি (Republic Day) সর্বসম্মতিক্রমে সংবিধান গ্রহণ করা হয়। যা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় ২৬শে জানুয়ারি।
এছাড়াও, ১৯২৯ সালের ডিসেম্বর মাসে লাহোরে জহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বে কংগ্রেস অধিবেশন বসে। সেখানে ঘোষিত হয় ১৯৩০ সালের ২৬শে জানুয়ারির মধ্যে ব্রিটিশ সরকার যদি ভারতকে ডোমিনিয়নের মর্যাদা না দেয় তবে ভারতে পূর্ণ স্বরাজ ঘোষণা করা হবে। ব্রিটিশরা উল্লেখিত সময়সীমার মধ্যে ডোমিনিয়নের মর্যাদা না দেওয়ায় আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৩০ সালে ২৬শে জানুয়ারির (Republic Day) গুরুত্ব বজায় রাখতে ১৯৫০ সালে এই দিনে ভারতের সংবিধান গৃহীত হয় ও প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে পালন করা হয়।