Maa Jagaddhatri: একে একে শেষ হয়েছে দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, ভাইফোঁটা আরও কত কি। তবে এবার উৎসবের ডালির শেষ ফুলটি ফুটতে চলেছে শীঘ্রই। অর্থাৎ বাঙালির উৎসবের ক্যালেন্ডারের শেষের বাহক হিসেবে আসতে চলেছে জগদ্ধাত্রী পুজো। দেবী চতুর্ভূজা রূপে সিংহের পিঠে পূজিত হন। জগদ্ধাত্রী কথার মধ্যেই রয়েছে জগৎ ধারণ করে যে অর্থাৎ জগতের মা। দেবীর পদতলে থাকে হাতির কাটা মুন্ড। কেনো জানেন?
দেবী দুর্গার আরেকটি রূপ এই দেবী জগদ্ধাত্রী। দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধের পর থেকে পুরুষত্বের অহংকারে ভুগতে থাকেন অন্যান্য দেবতারা। আদ্যাশক্তি মহামায়ার এই জগদ্ধাত্রী (Maa Jagaddhatri) রূপে জগৎ স্তম্ভিত হয়ে ওঠে। দেবতারা মনে করেন মহিষাসুরকে দেবী বধ করলেও এটা তাদের সম্মিলিত কীর্তি। যেহেতু ভগবান ব্রহ্মার আশীর্বাদে মহিলা ছাড়া অসুর বধ করা সম্ভব ছিলনা সেই জন্যই শুধুমাত্র দেবীর প্রয়োজন পরে। তাদের ধারণা হয় তারাই অসুর বধ করার পিছনে রয়েছেন।
তাদের এই অহংকার দেখে তাঁদের শক্তির পরীক্ষা করে দেখতে চান দেবী। তাদের দিকে ঘাসের টুকরো ছুঁড়ে দেন দেবী। দেবরাজ ইন্দ্র , অগ্নিদেব, বায়ুদেব, বরুণ দেব কেউই এই ঘাসের টুকরো সরাতে সফল হননি। তখনই দেবী আবির্ভূত হন জগদ্ধাত্রী (Maa Jagaddhatri) রূপে। দেবতাদের বুঝিয়ে দেন তিনি এই জগত ধারণ করেন তিনিই এই জগতের ধাত্রী।
আরো পড়ুন: হাতে একদম টাকা নেই, চলছে অর্থসংকট, বাস্তুদোষই মূল কারণ
তবে হাতি কেনো থাকে জানলে চমকে যাবেন। মূলত এই হাতির মুন্ড দেবতাদের অহংকারের প্রতীক। দেবী যেহেতু দেবতাদের অহংকার চূর্ণ করেছিলেন তাই তাদের অহংকারের বিশালত্ব দেখাতেই দেবীর পায়ের কাছে রাখা থাকে হাতির মাথা। সংস্কৃত ভাষায় হাতি কথার অর্থ করি। দেবী হাতি বদ করেছিলেন বলেই দেবীর নতুন নাম দেওয়া হয় করিন্দ্রাসুরনিসুদিনী।
বলে রাখি পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো (Maa Jagaddhatri) সব চেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা রয়েছে এই পুজো নিয়ে। আলোর রোশনাই এমনকি দুর্গাপুজোর মতো বিরাট লাইন দিয়ে মন্দির দেখার মত ভিড় লক্ষ করেছি। এছাড়াও হাবড়া-হুগলির কিছু জায়গায় ধুমধাম করে পালন করা হয় জগদ্ধাত্রী পুজো।