Tiger Hill: দার্জিলিং শহরের অন্যতম একটি ভিউ পয়েন্ট হলো এই টাইগার হিল (Tiger Hill)। এটি ৮,৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত পাহাড়ে ঘেরা একটি স্থান। যেখান থেকে পাহাড় ও মেঘে ঘেরা কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ শোভা উপভোগ করা যায়।
টাইগার হিল (Tiger Hill) কেনো এতো জনপ্রিয়?
- কাঞ্চনজঙ্ঘা, মাউন্ট এভারেস্ট, লোটসে এবং মাকালু শৃঙ্গ সহ হিমালয় পর্বতের ৩৬০° ভিউ উপভোগ করা যায়।
- হিমালয়কে আরও কাছ থেকে উপভোগ করার জন্য অবজারভেটরির বন্দবস্ত রয়েছে। যেখানে দূরবীন এবং টেলিস্কোপের মাধ্যমে হিমালয়ের আরও কাছে যাওয়া যায়।
- বৌদ্ধ শিল্প ও স্থাপত্যের প্রদর্শনী সম্পন্ন ঘুম মঠ ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিকটস্থ অবস্থান।
- এই অঞ্চল সেঞ্চাল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য অঞ্চলের কাছে হওয়ায় বিভিন্ন পাখি ও প্রাণীর দেখা মিলতে পারে।
টাইগার হিলে (Tiger Hill) করণীয় কাজ:
- টাইগার হিলের আশেপাশের স্বর্গের মতো ট্রেলগুলি ট্র্যাক করতে করতে প্রকৃতির শোভা দেখা।
- সূর্যোদয় এবং হিমালয়ের সৌন্দর্য ছবি তোলা।
- বিরল প্রজাতির ঠাণ্ডার দেশের বিভিন্ন পাখির পর্যবেক্ষণ।
- এডভেঞ্চারের জন্য হিমালয়ের কোলে ক্যাম্পিং করা যেতে পারে।
- ঘোড়ায় চড়ে আসে পাশের কিছু স্থান ঘুরে দেখা যেতে পারে।
টাইগার হিল (Tiger Hill) ভ্রমণের সেরা সময়:
- সকালে সূর্যোদয়ের আগে (4:00 AM to 6:00 AM)
- বসন্ত কালে অর্থাৎ মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যবর্তী সময়ে।
- শরৎকালে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যবর্তী সময়।
- শীতকাল অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যবর্তী সময়।
আরো পড়ুন: অনেক শিক্ষিত মানুষও জানেন না হাওড়া ব্রিজকে বাংলায় কি বলে
টাইগার হিলে (Tiger Hill) পৌঁছনোর উপায়:
- দার্জিলিং থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। যেকোনো গাড়ি করে যাওয়া যেতে পারে।
- দার্জিলিং শহর থেকে ৪-৫ ঘণ্টা ট্রেক করে টাইগার হিল পৌঁছে যাওয়া সম্ভব।
সতর্কতা:
- গরম পোশাক পরুন
- হিমালয়কে আরও কাছ থেকে উপভোগ করতে নিজস্ব বাইনোকুলার বহন করুন।
- পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
- শরীরকে হাইড্রেটেড না রাখলে উঁচু পার্বত্য এলাকায় দুর্বলতা পিছু ছাড়বেনা।
- নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত নির্দেশিকা মেনে চলুন।
টাইগার হিলের (Tiger Hill) সাংস্কৃতিক তাৎপর্য:
- স্থানটি বৌদ্ধ ঐতিহ্যের বাহক হিসেবে পরিচিত।
- লেপচা এবং তিব্বতি উপজাতির মানুষের বাসস্থান।
- দার্জিলিংয়ের চা বাগান দ্বারা বেষ্টিত।