Spot in Eye Corner: চোখের কোনে ফুলে হচ্ছে হলদেটে মাংসপিণ্ড, জানেন এটা কিসের লক্ষণ

Spot in Eye Corner: চোখের পাশে ধীরেধীরে বেড়ে উঠছে হলুদাভ মাংসপিণ্ড? ব্যথা বেদনা না থাকলেও এটি জানান দেয় শরীরের বড় এক সমস্যার। বিশেষ করে চল্লিশ বা তার ঊর্ধবয়সী মানুষের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে অনেক সময় অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনের মান এবং অনিয়মের চাপে আজকাল কম বয়সীরাও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। চোখের পাশের এই বেদনাহীন মাংসপিণ্ড ফুলে ওঠার নাম জ্যান্থেলাসমা। সাধারণত শরীরে কোলেস্টরল অথবা ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে গেলে এই সমস্যার স্বীকার হতে হয়।

কোলেস্টরল বাড়লে চামড়ায় প্রভাব পড়ে বেশি এটিও একটি চামড়ার সমস্যা। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে এই চোখের সমস্যার (Spot in Eye Corner) দেখা মেলে। চোখের কোনায় জমা ওই মাংসপিণ্ড হলো আসলে ফ্যাট যা জমতে জমতে মাংসের মতো পিণ্ডাকার ধারণ করে। এগুলো সাধারণত ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে না। তবে যদি মাংসপিন্ডের সংখ্যা এবং আকার ক্রমাগত বাড়তে থাকে তাহলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। এটি হার্ট এটাক বা স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে।

চিকিৎসকদের দাবি চোখের (Spot in Eye Corner) নিচে বা কাছাকাছি অঞ্চলে ব্যথাহীন ফোলা অংশ দেখলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে কারণ এতে চোখের সমস্যা না থাকলেও লুকিয়ে থাকতে পারে শরীরের কোনো বড়ো রোগ। কোলেস্টরল বাড়ার ফলে এই সমস্যা হয় বলে জানা যাচ্ছে। অনেক সময় এতে চোখের রেটিনার কাজের ক্ষমতা হ্রাস পেয়ে দৃষ্টি শক্তি হারানোর মতো রোগও হতে পারে।

আরো পড়ুন: পাইলস কেনো হয়? রোগ সারাতে কি কি করবেন জানুন

এছাড়াও কোলেস্টরল বাড়লে আরও অনেক সমস্যা দেখা যায় যার মধ্যে রয়েছে শরীরে অক্সিজেনের অভাব, হৃত্পিণ্ডে ব্যথা, মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন কম হওয়া, ঘাড়ে ও মাথার পিছনে ব্যথা। এছাড়া হার্ট এটাকের মতো জীবনদায়ী সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চোখের এই সমস্যা (Spot in Eye Corner) কমাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে কোলেস্টরল আর তার জন্য মানতে হবে কিছু নিয়ম সেগুলো হলো:

  • ভাজাভুজি খাবার খাওয়া যাবেনা।
  • কম তেল জাতীয় খাবার খেতে হবে।
  • মিষ্টি খাওয়া কমাতে হবে।
  • ফাস্ট ফুড খাওয়া যাবেনা।
  • ঘুম থেকে উঠে খালিপেটে লেবু জল খাওয়া প্রয়োজন।
  • জলখাবারের থালায় বেশি করে ফাইবার সম্মৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে।
  • দানা শস্য, সবজি ও ফল খেতে হবে।
  • দুধ চা না খেয়ে লিকার চা খাওয়া অভ্যেস করতে হবে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করে যেতে হবে।
  • সর্বোপরি ফ্যাট যুক্ত খাবার ত্যাগ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *