Petrol Pump Scam: তেল নেওয়ার সময় মিটারে শূন্য মানেই আর নিশ্চিন্ত নয়!

Petrol Pump Scam: আজকাল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই একটি বাইক বা নিজস্ব গাড়ি থাকেই। অফিস, কাছারি, বাচ্চাদের স্কুল, কলেজ, বাজার সমস্ত জায়গায় যাতায়াত করার সহজ মাধ্যম হিসেবে সব সময়ই টু হুইলারের নাম সবার উপরে উঠে আসে। এর জন্য প্রায় প্রতিদিনই পাম্পে যেতে হয় গাড়ির পেট্রোল বা ডিজেল ভরার জন্য। সাধারণত মিটারে “শূন্য” লেখা দেখে নিশ্চিন্ত ভাবে আমরা তেল নিয়ে থাকি। তবে সম্প্রতি উঠে আসা একটি ঘটনার পর থেকে আপনার মনেও প্রশ্ন জাগতে পারে আপনিও প্রতারিত হয়েছেন কিনা! চলুন তবে ঘটনাটি জেনে নিই!

সাধারণ ভাবে মিটারে শূন্য দেখে নিজের ইচ্ছেমত পরিমাণের জ্বালানি তেল নেওয়া হয়। মিটার দেখলে আপনি কত টাকার, কতটা তেল পাচ্ছেন তা সঠিক কিনা সহজেই হিসেব করে নেওয়া যায়। মূলত গ্রাহকদের সাথে স্বচ্ছতা বজায় রাখাই এর লক্ষ। তবে প্রতারণার (Petrol Pump Scam) ফাঁদ এখন আরও গভীরে চলে গেছে। যেখানে মিটারে শূন্য থাকাই এখন যথেষ্ট নয় প্রতারণাহীন সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে। অনেক সময় মিটার শূন্য থাকলেও তেল দেওয়ার শুরু হলেই মিটার ৬-৭ এ উঠে যায় এক বারেই। অর্থাৎ ধাপে ধাপে না বেড়ে একবারেই ৬-৭ এ উঠে যাচ্ছে কিনা এদিকেই নজর দিতে হবে। প্রতারকরা গ্রাহকদের ঠকানোর জন্য একেরপর এক ফাঁদ আবিষ্কার করছে। সেই বিষয়ে গ্রাহকদের সচেতন করাই আমাদের এই প্রতিবেদনের লক্ষ্য।

সাধারণত গ্রাহকরা পাম্পে গিয়ে ১০০,২০০,৫০০ বা ১০০০ টাকার তেল ভরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে এই স্বাচ্ছন্দ্য এবার ত্যাগ করতে হবে। এই ধরনের টাকার অঙ্ক অনেকসময় আগে থেকেই ঠিক করে রাখা থাকে মিটারে। ফলে শূন্যের পর ৫-৬-৭ সংখ্যা উঠলেই বুঝতে হবে আপনি প্রতারিত হচ্ছেন। এর জন্য আপনাকে আলাদা টাকার অঙ্ক বেছে নেওয়া উচিত। যেমন ১০৪, ২০৭, ৫৬৭, ১০৪৩ টাকা। আর সবসময় নিয়মিত তেল নেওয়া হয় এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য জায়গা থেকেই তেল নেওয়া উচিত। অনেক ক্ষেত্রে নতুন গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা (Petrol Pump Scam) করার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

আরো পড়ুন: TVS মোটরস – উপহার দিতে চলেছে ভারতে সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের ইলেকট্রিক স্কুটার

শুধু এখানেই থেমে নেই প্রতারণার শিকড় রয়েছে আরও অন্য দিকেও। পেট্রোল-ডিজেলের বিশুদ্ধতা ও গুণগত মান নিয়েও চলছে একাধিক প্রতারণা। এর জন্য মিটারে তেলের পরিমাণ শূন্য থেকে দেখার সাথে আপনাকে দেখে নিতে হবে পেট্রোল ডিজেলের ঘনত্ব। এদিকে নজর রাখলেও আপনি প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে পারেন। সরকারি মতে প্রতি কিউবিক মিটারে পেট্রোলের ঘনত্ব হওয়া উচিত ৭৩০-৮০০ কেজি এবং এই একই হিসেবে ডিজেলের ঘনত্ব হওয়া উচিত ৮৩০ – ৯০০ কেজি। যদি কোনো ক্ষেত্রে মিটারে এই ঘনত্বের কম দেখায় তবে বুঝতে হবে আপনি প্রতারিত হচ্ছেন। এই জ্বালানি তেলে ক্ষতিকারক রাসায়নিক মেশানো হয়েছে।

কোনো ভাবে যদি আপনি নিজের প্রতারণার (Petrol Pump Scam) ব্যাপারে আঁচ করতে পারেন তবে পাম্পের আধিকারিককে অভিযোগ জানাতে পারেন সরাসরি। অন্যদিকে ভারত পেট্রোলিয়ামের কোনো পাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারেন টোল ফ্রি নম্বর 1800-22-4344 -এ ফোন করে। HP পাম্পের 1800-2333-555 আর ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশনের পাম্পের জন্য 1800-2333-555 নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন। এছাড়াও জ্বালানি তেলের সরকারি ওয়েবসাইট https://pgportal.gov.in/ এ রেজিষ্টার করেও অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *