Best Winter Destination: শীতের ছুটিতে নিরিবিলি ঘুরতে চাইছেন, ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গাগুলি থেকে

Best Winter Destination: কলকাতায় এখন বেশ জমিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। পিঠেপুলি, কেক এবং কমলালেবুর মরশুমে ছোটদের পরীক্ষার পালাও শেষ হয়েছে। এই সময়েই একমাত্র নির্ঝঞ্ঝাট হয়ে বেড়াতে যাওয়া যায়। আর কিছুদিন বাদেই বড়দিন। সঙ্গে রয়েছে নতুন বছর আসার আনন্দও। এই সময়েই শীতের ছুটি উপভোগ করতে হারিয়ে যেতে পারেন নিরিবিলি প্রকৃতির বুকে। আর সেই জন্যই আজ আলোচনা করা হলো শীতকালীন ভ্রমণের বেস্ট তিনটি স্পট (Best Winter Destination) নিয়ে।

১. বড়ন্তি:

শীতের ছুটিতে ভ্রমণের সেরা তিনটি ঠিকানার (Best Winter Destination) জন্য বড়ন্তির তুলনা পাওয়া মুশকিল। কলকাতা থেকে অল্প দুরত্বেই রয়েছে এই লাল পাহাড়ির দেশ। শাল, সেগুন, পলাশ, পিয়াল গাছের ভীড়ে এই গ্রাম। একদিকে বিহারীনাথ পাহাড় অন্যদিকে পাঞ্চেত ড্যাম। এছাড়া রয়েছে গরপঞ্চকোট এবং জয়চন্ডি পাহাড়। মাইথন ড্যাম এবং কল্যানেশ্বরী মন্দিরও খুব দূরে নয়। বসন্তে পলাশের রঙের আগুন লাগে প্রকৃতিতে। শীতের ছুটিতেও স্বল্প দিনের ট্যুরে প্রকৃতির বুকে হারিয়ে যেতে যাওয়া যেতেই পারে এই জায়গায়।

পথ নির্দেশিকা: শিয়ালদহ বা হাওড়া থেকে আসানসোলগামী যেকোনো ট্রেনে পৌঁছে যেতে হবে আসানসোল। সেখান থেকে গাড়ি ধরে বা ট্রেনে করে পৌঁছে যেতে হবে আদ্রা। সেখান থেকেই অল্প দূরত্বে রয়েছে এই বড়ন্তি। এছাড়াও কলকাতা থেকে সরাসরি গাড়িতেও যাওয়া যেতে পারে বড়ন্তি।

২. গনগনি:

গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের স্বাদ নিতে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন দেখতে যেতে পারেন অনায়াসেই। শীতকালীন ছুটি কাটানোর আরেকটি জায়গা (Best Winter Destination) হলো এই গনগনি জায়গাটি। শিলাবতী নদী বয়ে যাওয়ার সময় লাল ও গেরুয়া মাটি ক্ষয়ে ক্ষয়ে তৈরি করেছে কোথাও গুহা তো কোথাও গিরিখাত।

পথ নির্দেশিকা: সড়কপথে আরামবাগের উপর দিয়ে পৌঁছানো যেতে পারে গনগনি। এছাড়া পুরুলিয়াগামী যেকোনো ট্রেনে চেপে নামতে হবে গড়বেতা। সেখান থেকে টোটো করেই পৌঁছে যাওয়া যাবে গনগনি।

৩. বাঁকিপুট:

শহরের কোলাহলপূর্ণ জীবন থেকে মুক্তি পেতে শীতের ছুটিতে (Best Winter Destination) নিরিবিলিতে ঘুরে আসতে পারেন বাঁকিপুট থেকে। সমুদ্রের পাড়ে নিরিবিলি প্রকৃতি উপভোগ করতে সেরা ঠিকানা হতে পারে এই জায়গাটি। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের পাশাপাশি লাইট হাউস, পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দর, শতাব্দী প্রাচীন কপালকুণ্ডলা মন্দিরও এখান থেকে খুব দূরে নয়।

পথ নির্দেশিকা: কলকাতা থেকে বাস বা গাড়িতে রাস্তা ধরে সোজা পৌঁছে যেতে পারেন। অন্যদিকে ট্রেনে করে কাঁথি পৌঁছে সেখান থেকে জুনপুট যাওয়ার গাড়ি ধরে ৪০ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যাবে প্রকৃতির মাঝের এই গন্তব্যস্থলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *