Hajmola: হজমোলার কর নির্ধারণ নিয়ে বিতর্ক, ক্যান্ডি নাকি আয়ুর্বেদিক পণ্য কোন শ্রেণীভুক্ত?

Hajmola: লাঞ্চ বা ডিনার করার পর অনেকে নানান ধরনের খাদ্য গ্রহণ করেন। কেউ মুখশুদ্ধি করার জন্য পান খান তো কেউ জোয়ান খান। আবার কেউ গ্রহণ করেন হজমোলা। এবার সেই হজমোলাতেই কর নির্ধারণ করলো সরকার। জিএসটি বসাতেই তীব্র বিরোধ প্রস্তুতকারী সংস্থার সাথে। প্রশ্ন উঠছে কোন শ্রেণীভুক্ত হজমোলা ক্যান্ডি নাকি আয়ুর্বেদিক? কি বলছে প্রস্তুতকারী সংস্থা? শেষ পর্যন্ত রায় কি বেরোলো?

হজমোলায় (Hajmola) জিএসটি নির্ধারণ

মূলত একটি পাচক দ্রব্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় হজমোলা। ৬টি স্বাদে বাজারে উপলব্ধ রয়েছে হজমোলা। যা প্রস্তুত করে থাকে পাকিস্তানি হিলাল কোম্পানি ও ডাবর সংস্থা। তবে বর্তমানে জিএসটি আওতাভুক্ত হয়েছে হজমোলা দ্রব্য। সরকার তরফে প্রায় ১৮ শতাংশ কর নির্ধারণ করেছে হজমোলায়। অন্যদিকে যেখানে ১২ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হয় আয়ুর্বেদিক পণ্যের ক্ষেত্রে। ফলে জিএসটি নির্ধারণে বিরাট সংকটে পড়েছে হজমোলা।

বিতর্ক ডাবর ও সরকারের সাথে

হজমোলার উপর কর বসাতেই নড়েচড়ে বসেছে হজমোলা প্রস্তুতকারী সংস্থা। আর তারপরই হজমোলা (Hajmola) ক্যান্ডি না আয়ুর্বেদিক পণ্য কোন শ্রেণীভুক্ত সেই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সংস্থা তরফে হজমোলাকে ক্যান্ডি নয় আয়ুর্বেদিক পণ্য হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করেছে। যার বিরোধিতা করেছে সরকার। আর এই নিয়েই বিতর্ক ডাবরের সাথে সরকার মহলের।

আয়ুর্বেদিক হিসেবে ডাবরের যুক্তি

হজমোলার কর জটিলতা সৃষ্টি হলে জিএসটি কাউন্সিলের গোয়েন্দা শাখার অফিসার চিঠি পাঠায় ডাবরকে। আর সেই প্রশ্নেই ডাবর যুক্তি দিয়ে জানায় হজমোলা ক্যান্ডি শ্রেণীভুক্ত নয়। যেহেতু এই দ্রব্যটি চিনি দিয়ে প্রস্তুত করা হয়নি তাই এটি কবিরাজী পণ্যের শ্রেণীভুক্ত। শুধু তাই নয় হজমোলা প্রস্তুতকারী সংস্থা ডাবর এও জানিয়েছে, এক সময় হাইকোর্টে এই নিয়ো এক মামলা হয়েছিল। সেখানে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল হজমোলাকে আয়ুর্বেদিক পণ্যের শ্রেণীভুক্ত করার।

আরও পড়ুন: ফের কেঁপে উঠল সাবেক বর্মা, আগামীতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা এশিয়ার ৩ দেশের

ক্যান্ডি হিসেবে সরকারের যুক্তি

কিন্তু অন্যদিকে ডাবরের এই যুক্তি মানতে নারাজ সরকার। সুক্ষ পার্থক্য তুলে ধরে হজমোলার (Hajmola) উপর ১৮ শতাংশ ধার্য করেছে সরকার। এ বিষয়ে সরকার কারণ হিসেবে দেখিয়েছে অন্যান্য দ্রব্যের ব্যবহার। অর্থাৎ সরকার তরফে বলা হয়েছে হজমোলাতে চিনির ব্যবহার না থাকলেও অন্যান্য যে উপকরণ ব্যবহার করা হয় তা কবিরাজি পণ্যের শ্রেণীভুক্ত নয়। পাশাপাশি ক্যান্ডি হিসেবে খোলাবাজারে বিক্রিত হচ্ছে এই হজমোলা।

প্রধান বিবৃতি

তবে শুধু হজমোলা (Hajmola) নিয়ে নয় বহুদিন আগে থেকে দুধ-ক্রিম, মশলা, মিশ্রিত মশলা, রুটির ওপর জিএসটি নিয়েও চলছে বিতর্ক। পাশাপাশি ডাবরের যুক্তি স্বরূপ জবাবেও খুশি নন জিএসটি কাউন্সিলর। যার ফলে এখনো পর্যন্ত হজমোলা কোন পণ্যের শ্রেণীভুক্ত তা নিয়ে সংস্থা বা সরকার তরফে প্রধান বিবৃতি দেয়নি। ফলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান এই নিয়ে পরবর্তীকাল তীব্র বিরোধ তৈরীর সম্ভবনা হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *